ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মায়ানমারের দু’পক্ষের সাথে সম্পর্ক রাখছে সরকার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মায়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে নেয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম থেকে মায়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সবশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন।

তিনি বলেন, এখনও সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‌মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদকরোধে সবার সহযোগিতা দরকার। এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছ শিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খোলা হবে।

তিনি এক পর্যায়ে বলেন, ‌সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। কিছু অসাধু বাংলাদেশি দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে। এ দালাল চক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিব, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মহিউদ্দিন খান, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মায়ানমারের দু’পক্ষের সাথে সম্পর্ক রাখছে সরকার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মায়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে নেয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম থেকে মায়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সবশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন।

তিনি বলেন, এখনও সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‌মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদকরোধে সবার সহযোগিতা দরকার। এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছ শিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খোলা হবে।

তিনি এক পর্যায়ে বলেন, ‌সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। কিছু অসাধু বাংলাদেশি দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে। এ দালাল চক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিব, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মহিউদ্দিন খান, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা