নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
নড়াইলের সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামে বাসনা রানী মল্লিক (৫০) নামে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেসন সেলের এসআই আলী হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাগুরা জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মোঃ ফারুক মোল্যা (৫০)কে গ্রেপ্তারর করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী ফারুক মোল্যা সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউপির দৌলতপুর গ্রামের ওসমান মোল্যার ছেলে।
পুলিশ, ভুক্তভোগীর পরিবার এবং মাইজপাড়া ইউপি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর দাফতরিক কাজসহ উপকারভোগীদের মাঝে টিসিবির পণ্য দিতে নড়াইলের মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যান মহিলা ইউপি সদস্য বাসনা রানী মল্লিক। পাশের গ্রামের রাজিবুল ইসলাম তাকে মোবাইলে ফোন করে পাওনা ১০ হাজার টাকা আনতে দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে বাসনা রানী মল্লিক কে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী বাসনা রানী মল্লিক বিষয়টি প্রকাশ করে দেবে বললে হুমকি দিলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বাড়িতে ফিরে লোকলজ্জার ভয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাননি। রাতে কয়েকবার বমিসহ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার (২৫ডিসেম্বর) সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নড়াইল পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর বলেন, বাসনা রানী মল্লিক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় শনিবার দুপুরে প্রধান আসামী দৌলতপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৬০)কে মাগুরা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্ষন্ত নড়াইল সদর থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।