৭৯৩ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে আখ মাড়াই শুরু
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেড ৭৯৩ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়েই শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ৬২তম আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রমের শুরু হয়েছে।
গত আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন মৌসুমে প্রতি কেজি চিনিতে মিলের লোকসান হয়েছে ৪০২ টাকা।
জানা গেছে, ১৯৬০ সালে জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩-৬৪ সাল থেকে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার আওতাধীন এই মিলটি আখ মাড়াই মৌসুম শুরুর পর প্রায় ৩০ বছর লাভ-লোকসান মিলিয়ে চলে। এরপর ১৯৯৪-৯৫ আখ মাড়াই মৌসুমের পর থেকে মিলটি আর লাভের মুখ দেখেনি। প্রতি বছরই লোকসান গুনতে হয় মিলটির। আর এই লোকসান বাড়তে বাড়তে এ পর্যন্ত মোট প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
মিল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন মৌসুমে ৩৭ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছে। এতে এক হাজার ১১৩ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। এখন ও গুদামে ৩৭০ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। ওই মৌসুমে ব্যাংক ঋণের সুদসহ প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে ৫২৭ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর সুদ ছাড়া ব্যয় হয়েছে ৩৮১ টাকা। উৎপাদিত চিনি কলের চিনি বাজারে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি কেজি চিনিতে লোকসান গুনতে হয়েছে সুদসহ ৪০২ টাকা ও সুদ ছাড়া ২৫৬ টাকা। এক কেজি চিনিতে সুদসহ লোকসানের পরিমাণ বেশি।
সবমিলিয়ে ওই মৌসুমে মোট প্রায় ৫৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে লোকসান ছিল ৬৯ কোটি টাকা।
জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আখলাছুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আখের আবাদ বেশি হয়েছে।আখের আবাদ বৃদ্ধির জন্য এবছর কৃষকদের কে ৭৩লক্ষ্য৬৬হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। চলতি২০২৪-২৫ মৌসুমে ৩ হাজার ২ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। এসব জমির ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। মিলটির আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রম শুক্রবার শুরু হয়ে তা আগামী ৩৪ দিন চলবে।