ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালোকাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে পাহারা, পাশে দিচ্ছেন বক্তব্য

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ ঢাকা একজন আরবিভাষী আরবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পাশে দুইজন কালোকাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। মঞ্চের আশেপাশে বেশ কয়েকজন মুসল্লিকে শ্রোতা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, এই মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

যশোর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে, এই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শিক্ষা সচিব দাবি করেছেন, মাদ্রাসার বার্ষিক আঞ্জুমানের (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী মানুষের লড়াই সংগ্রামের অভিনয় করিয়ে দেখিয়েছে।

এদিকে, এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যশোরসহ দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোর শহরতলীর রাজারহাট বিহারি কলোনি এলাকায় ২০১২ সালে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এখানে মূলত হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি দেয়া হয়।

এই মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মাকফুর রহমান বলেন, এই মাদ্রাসায় প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে যারা উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত, গজল এবং অভিনয়ে ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো কাঠ, শোলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি।

জানতে চাইলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আজীবন সদস্যদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মঞ্চেই বার্ষিক আঞ্জুমানের আয়োজন করা হয়। আঞ্জুমানে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ হয়। এতে যারা ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। বিষয়টি কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি দাবি করেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বলেন, ভিডিওটি দেখেছি মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি প্রতিযোগিতার অংশ। তারা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে, কেউ যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কোন প্রকার ক্ষতির কারণ না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কালোকাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে পাহারা, পাশে দিচ্ছেন বক্তব্য

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪


যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ ঢাকা একজন আরবিভাষী আরবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পাশে দুইজন কালোকাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। মঞ্চের আশেপাশে বেশ কয়েকজন মুসল্লিকে শ্রোতা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, এই মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

যশোর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে, এই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শিক্ষা সচিব দাবি করেছেন, মাদ্রাসার বার্ষিক আঞ্জুমানের (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী মানুষের লড়াই সংগ্রামের অভিনয় করিয়ে দেখিয়েছে।

এদিকে, এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যশোরসহ দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোর শহরতলীর রাজারহাট বিহারি কলোনি এলাকায় ২০১২ সালে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এখানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এখানে মূলত হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি দেয়া হয়।

এই মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মাকফুর রহমান বলেন, এই মাদ্রাসায় প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে যারা উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত, গজল এবং অভিনয়ে ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা প্যালেস্টাইনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো কাঠ, শোলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি।

জানতে চাইলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আজীবন সদস্যদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মঞ্চেই বার্ষিক আঞ্জুমানের আয়োজন করা হয়। আঞ্জুমানে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ হয়। এতে যারা ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। বিষয়টি কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি দাবি করেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বলেন, ভিডিওটি দেখেছি মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি প্রতিযোগিতার অংশ। তারা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে, কেউ যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কোন প্রকার ক্ষতির কারণ না হয়।