ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বললেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়েই এদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি



বিএনপির জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়েই এদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৫ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বৈঠকে তাজউদ্দিন আহমেদ শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণার আহবান জানালে তিনি তা প্রত্যাখ্যানকরেন। শেখ মুজিব বলেন আমি এখন স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আমাকে এখন ফাঁসির মঞ্চে ঝুলতে হবে।

মঙ্লবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
প্রধান অতিথি পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের ভারতে পলায়নপরের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের রোষের কাছে কোন কিছু টিকানো যায় না। গণভবন সেই চিহ্ন বহন করে চলেছে। বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা লাভ করেছে। অথচ ভারত এ বিজয় তাদের বিজয় বলে উল্লেখ করে। এ দেশের জনগণ এ জাতীয় কথা কোনদিন মেনে নেবে না।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, ২৬ শে মার্চ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনিই হচ্ছেন স্বাধীনতার ঘোষক। ৭ ই মার্চে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই।তিনি সেদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দরকষাকষি করেছিলেন । সৈনিকদের ক্যান্টনমেন্টে চলে যেতে বলেছিলেন। সেদিন স্লোগান উঠেছিল জয় বাংলা না জয় পাকিস্তান। ফলে জয় বাংলা স্বাধীনতার স্লোগান হতে পারে না।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি,কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, কেশবপুর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনজারুল হক খোকন, চৌগাছা বিএনপির সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান, মনিরামপুর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট শহীদ ইকবাল , খাইরুজ্জামান মধু, গোলাম হায়দার ডাবলু, এম তমাল আহমেদ, আনসারুল হক রানা, ফেরদৌসী বেগম প্রমূখ।
সভার শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বললেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়েই এদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪



বিএনপির জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়েই এদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৫ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বৈঠকে তাজউদ্দিন আহমেদ শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণার আহবান জানালে তিনি তা প্রত্যাখ্যানকরেন। শেখ মুজিব বলেন আমি এখন স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আমাকে এখন ফাঁসির মঞ্চে ঝুলতে হবে।

মঙ্লবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
প্রধান অতিথি পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের ভারতে পলায়নপরের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের রোষের কাছে কোন কিছু টিকানো যায় না। গণভবন সেই চিহ্ন বহন করে চলেছে। বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা লাভ করেছে। অথচ ভারত এ বিজয় তাদের বিজয় বলে উল্লেখ করে। এ দেশের জনগণ এ জাতীয় কথা কোনদিন মেনে নেবে না।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, ২৬ শে মার্চ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনিই হচ্ছেন স্বাধীনতার ঘোষক। ৭ ই মার্চে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই।তিনি সেদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দরকষাকষি করেছিলেন । সৈনিকদের ক্যান্টনমেন্টে চলে যেতে বলেছিলেন। সেদিন স্লোগান উঠেছিল জয় বাংলা না জয় পাকিস্তান। ফলে জয় বাংলা স্বাধীনতার স্লোগান হতে পারে না।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি,কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, কেশবপুর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনজারুল হক খোকন, চৌগাছা বিএনপির সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান, মনিরামপুর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট শহীদ ইকবাল , খাইরুজ্জামান মধু, গোলাম হায়দার ডাবলু, এম তমাল আহমেদ, আনসারুল হক রানা, ফেরদৌসী বেগম প্রমূখ।
সভার শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।