শীতে কাঁপছে ঢাকাও
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
এবছর শীতে কাঁপছে রাজধানী ঢাকাও। এখানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকলেও উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠা-নামা করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, দু-একদিনের মধ্যেই বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এ ছাড়া ঘন কুয়াশা থাকবে আরও অন্তত এক সপ্তাহ।
কুয়াশায় ঢাকা থাকছে সারা দেশেই। সকালে সূর্যের দেখা মেলে না। দুপুরের দিকে হালকা রোদ উঠে। এরপর সন্ধ্যা হলেই বাড়ে ঠান্ডা বাতাস।
আবহাওয়াবিদ অফিস বলছে, আগামী ১৬ তারিখ থেকে কুয়াশা আরও বাড়বে, থাকবে অন্তত এক সপ্তাহ। দু-একদিনের মধ্যেই বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এ কয়দিন সূর্যের দেখা পেতে পেতে দুপুর হবে।
রংপুর জেলার আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীত বেশি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে বেশ কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। এদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৫ ডিগ্রি।
মৌসুমের প্রথম মৃদু এ শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে এ অঞ্চলে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। যার তীব্রতা সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
দিনের কিছুসময় সূর্য উঠলেও উত্তাপ মিলছে না। হিমেল বাতাসে কনকনে শীতের কাছে কাবু হচ্ছে জনজীবন। এমন অবস্থায় নিম্নআয়ের মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। শীতার্ত মানুষদের খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।