গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন যেসব বিশ্ব নেতারা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
ইতিহাস সাক্ষী, শক্তিশালী বলে বিবেচিত শাসকরাও গণআন্দোলনের মুখে টিকতে পারেননি।
গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিশ্বের বহু নেতা। জনগণের অসন্তোষ ক্ষমতাসীন শাসকদের পতন ঘটিয়েছে। দুর্নীতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং স্বৈরাচারী শাসনের কারণে জমে ওঠা ক্ষোভ অনেকবারই নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, শক্তিশালী বলে বিবেচিত শাসকরাও গণআন্দোলনের মুখে টিক থাকেতে পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে কেউ প্রাণ রক্ষার তাগিদে পালিয়েছেন। আবার কেউ রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য অন্য দেশে শরণার্থী হয়েছেন।
২০০০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসব স্বৈরশাসক দেশত্যাগ করেছেন তাদের তালিকা দেয়া হলো-
তিউনিসিয়া
জিন আল আবিদিন বেন আলি: ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তিউনিসিয়ান বিপ্লবের পর সৌদি আরবে পালিয়ে যান, যা আরব বসন্তের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়।
সিরিয়া
বাশার আল-আসাদ: ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের হাতে বড় শহরগুলো দখল হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
বুরকিনা ফাসো
ব্লেইস কম্পাওর: ব্লেইস কম্পাওর ২০১৪ সালে তার শাসন দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের মুখে আইভরি কোস্টে পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ
শেখ হাসিনা: ২০২৪ সালের ছাত্র-আন্দোলনে দমন পীড়ন ও হত্যাকাণ্ড চালানোর পর এবং সামরিক বাহিনীর সমর্থন হারানোর পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।
কিরগিজস্তান
কুরমানবেক বাকিয়েভ: ২০১০ সালে কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভ সরকারবিরোধী সহিংস আন্দোলনের পর বেলারুশে আশ্রয় নেন। এই আন্দোলন তার শাসনের অবসান ঘটায়।
শ্রীলঙ্কা
গোটাবায়া রাজাপাকস: ২০২২ সালের জুলাই মাসে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং এক কঠোর আর্থিক সঙ্কটের কারণে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর দেশত্যাগ করেন।
ইউক্রেন
ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ: ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউরোমেইদান প্রতিবাদ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষের পর রাশিয়া পালিয়ে যান।
বলিভিয়া
এভো মোরালেস: ২০১৯ সালে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এবং গণবিক্ষোভের জেরে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট এভো মোরালেস মেক্সিকোতে আশ্রয় নেন।
হাইতি
জিন-বেরট্রান্দ অ্যারিস্টিড: ২০০৪ সালে বিদ্রোহ ও গণপ্রতিরোধের মুখে হাইতির প্রেসিডেন্ট জিন-বেরট্রান্ড অ্যারিস্টিড দেশত্যাগ করেন।