ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

জলাবদ্ধ এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, যশোরের জলাবদ্ধ তিন উপজেলায় কীভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো চালু রাখা যায় সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় চিন্তাভাবনা করছে। আপাতত যাতে শিক্ষাপ্রদান কার্যক্রম ব্যহত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে তিনি সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেন।

 সার্বিক শিক্ষাপ্রদান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুলগুলোর আগের সব ম্যানেজমেন্ট কমিটি ভেঙে নতুন করে কমিটি দেয়া হয়েছে। এখন যদি সবকিছু আগের চেয়ে ভালভাবে চলে, পরে যারাই সরকারে আসুক, তারা নৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়বে ভাল ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য।

শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যশোর জেলার মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বেলা সাড়ে ১২টায় যশোর সার্কিট হাউজে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, যশোরের ৮ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে উপদেষ্টা যশোরের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যশোরের জলাবদ্ধ তিন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। একইসাথে প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও আহŸান করেন তিনি। কর্মকর্তারা জানান, মণিরামপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। অভয়নগরে ১৬টা এবং কেশবপুরে ৮টা স্কুলে এখনও পানি আছে। এসব স্কুলে পানি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার (ড্রপআউট) হার বাড়ছে। এক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলোতে করোনাকালের মতো অনলাইন ক্লাস এবং উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা অথবা স্যাটেলাইট স্কুল চালু করার প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা। একইসাথে কর্মকর্তারা বলেন, যেসব স্কুলে মিড ডে মিল চালু আছে সেখানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বেশি। তাই সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা যায় কিনা সে প্রস্তাব দেন তারা। শিক্ষক সংকট কাটাতে কর্মকর্তারা পার্ট টাইম শিক্ষক নিয়োগ করা যায় কি না তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন।

কর্মকর্তাদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য ও প্রস্তাব প্রসঙ্গে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, জলাবদ্ধ এলাকায় স্কুলগুলো কীভাবে চলবে সেটা গুরুত্বের সাথে সরকার দেখবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবনাগুলোও সরকার বিবেচনা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যশোরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

জলাবদ্ধ এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, যশোরের জলাবদ্ধ তিন উপজেলায় কীভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো চালু রাখা যায় সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় চিন্তাভাবনা করছে। আপাতত যাতে শিক্ষাপ্রদান কার্যক্রম ব্যহত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে তিনি সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেন।

 সার্বিক শিক্ষাপ্রদান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুলগুলোর আগের সব ম্যানেজমেন্ট কমিটি ভেঙে নতুন করে কমিটি দেয়া হয়েছে। এখন যদি সবকিছু আগের চেয়ে ভালভাবে চলে, পরে যারাই সরকারে আসুক, তারা নৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়বে ভাল ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য।

শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যশোর জেলার মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বেলা সাড়ে ১২টায় যশোর সার্কিট হাউজে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, যশোরের ৮ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে উপদেষ্টা যশোরের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যশোরের জলাবদ্ধ তিন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। একইসাথে প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও আহŸান করেন তিনি। কর্মকর্তারা জানান, মণিরামপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। অভয়নগরে ১৬টা এবং কেশবপুরে ৮টা স্কুলে এখনও পানি আছে। এসব স্কুলে পানি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার (ড্রপআউট) হার বাড়ছে। এক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলোতে করোনাকালের মতো অনলাইন ক্লাস এবং উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা অথবা স্যাটেলাইট স্কুল চালু করার প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা। একইসাথে কর্মকর্তারা বলেন, যেসব স্কুলে মিড ডে মিল চালু আছে সেখানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বেশি। তাই সব স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা যায় কিনা সে প্রস্তাব দেন তারা। শিক্ষক সংকট কাটাতে কর্মকর্তারা পার্ট টাইম শিক্ষক নিয়োগ করা যায় কি না তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন।

কর্মকর্তাদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য ও প্রস্তাব প্রসঙ্গে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, জলাবদ্ধ এলাকায় স্কুলগুলো কীভাবে চলবে সেটা গুরুত্বের সাথে সরকার দেখবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবনাগুলোও সরকার বিবেচনা করবে।