ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে আঃ হামিদ পরিবার

সরকার লুৎফর রহমান,গাইবান্ধা 
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বানিজ্যিকভাবে গোলাপ ও চন্দ্র মল্লিকা ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে আব্দুল হামিদ খন্দকার এর পরিবার।

গাইবান্ধা জেলার সীমানা শেষে রংপুর জেলার পীরগন্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের হামিদ খন্দকার ও তার ছেলেকে নিয়ে ১১ বিঘা ( ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা) জমি যাহা নিজ ও বন্ধকি এতে ফুল চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এনেছেন এ ফুল চাষি।

ফুলের কালার ও কোয়ালিটি ভেদে গোলাপফুল শতকরা ২শত থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেন।

১১ বিঘা জমিতে গোলাপ ও চন্দ্র মল্লিকা ফুল চাষ করে বছরে প্রায় পাঁচ হতে আট লক্ষাধিক টাকা আয় করেন এই সফল ফুল চাষি।

ফুল চাষি আব্দুল হামিদ বলেন,আমি আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকার আশেপাশে হতে ফুল কিনে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় পাইকারী বিক্রি করতাম। ২০১৮ সালের শেষের দিকে বানিজ্যিক ভাবে নিজ জমিতে ফুল চাষ শুরু করি এবং এতে করে আমি সহ আমার পরিবার আজ সবাই স্বাবলম্বী। বীজ সংগ্রহ কোথায় থেকে করেন ও এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বীজ পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া হতে নিয়ে আসি, আর এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষে প্রথম অবস্থায় খরচ হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আর চন্দ্র মল্লিকা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ দেয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, না কৃষি অফিস হতে কোনরকম সহযোগিতা আমরা কখনোই পাইনি।

আপনাদের দেখে আশেপাশে কেউ কি ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয় কিনা প্রশ্ন করলে ফুল চাষীর ছোট ছেলে মোঃ সেলিম খন্দকার বলেন, অনেকে করতে চায় কিন্তু খরচ বেশি হওয়ায় ও বিক্রির স্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও করতে পারে না।

ফুলের বাগানে তিন জন শ্রমিক কাজ করছে তাদের সাথে সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা এই ফুল বাগান শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন তারা পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে তাদের সংসার খুব ভালো ভাবেই চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে আঃ হামিদ পরিবার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বানিজ্যিকভাবে গোলাপ ও চন্দ্র মল্লিকা ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে আব্দুল হামিদ খন্দকার এর পরিবার।

গাইবান্ধা জেলার সীমানা শেষে রংপুর জেলার পীরগন্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের হামিদ খন্দকার ও তার ছেলেকে নিয়ে ১১ বিঘা ( ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা) জমি যাহা নিজ ও বন্ধকি এতে ফুল চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এনেছেন এ ফুল চাষি।

ফুলের কালার ও কোয়ালিটি ভেদে গোলাপফুল শতকরা ২শত থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেন।

১১ বিঘা জমিতে গোলাপ ও চন্দ্র মল্লিকা ফুল চাষ করে বছরে প্রায় পাঁচ হতে আট লক্ষাধিক টাকা আয় করেন এই সফল ফুল চাষি।

ফুল চাষি আব্দুল হামিদ বলেন,আমি আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকার আশেপাশে হতে ফুল কিনে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় পাইকারী বিক্রি করতাম। ২০১৮ সালের শেষের দিকে বানিজ্যিক ভাবে নিজ জমিতে ফুল চাষ শুরু করি এবং এতে করে আমি সহ আমার পরিবার আজ সবাই স্বাবলম্বী। বীজ সংগ্রহ কোথায় থেকে করেন ও এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বীজ পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া হতে নিয়ে আসি, আর এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষে প্রথম অবস্থায় খরচ হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আর চন্দ্র মল্লিকা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ দেয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, না কৃষি অফিস হতে কোনরকম সহযোগিতা আমরা কখনোই পাইনি।

আপনাদের দেখে আশেপাশে কেউ কি ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয় কিনা প্রশ্ন করলে ফুল চাষীর ছোট ছেলে মোঃ সেলিম খন্দকার বলেন, অনেকে করতে চায় কিন্তু খরচ বেশি হওয়ায় ও বিক্রির স্থান সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও করতে পারে না।

ফুলের বাগানে তিন জন শ্রমিক কাজ করছে তাদের সাথে সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা এই ফুল বাগান শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন তারা পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে তাদের সংসার খুব ভালো ভাবেই চলে।