ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াশার চাদরে ঢাকা জনপদ, কনকনে শীতে কাবু মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে এ জনপদ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পরছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক পথে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ছিল। কুয়াশার কারণে লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তথ্য জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে। এখন ঠান্ডার অনুভূতি বাড়ছে। ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বইছে। দুপুর থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।

কাকিনা এলাকার অটোরিকশা চালক এনামুল হক বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশি দূর দেখা যায় না। দিন যতই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।

কালীগঞ্জের মুন্সির বাজার এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই খেতমজুররা ধান কাটছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ জেলায় ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কুয়াশার চাদরে ঢাকা জনপদ, কনকনে শীতে কাবু মানুষ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে এ জনপদ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পরছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়ক পথে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা ছিল। কুয়াশার কারণে লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তথ্য জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে। এখন ঠান্ডার অনুভূতি বাড়ছে। ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বইছে। দুপুর থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।

কাকিনা এলাকার অটোরিকশা চালক এনামুল হক বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশি দূর দেখা যায় না। দিন যতই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।

কালীগঞ্জের মুন্সির বাজার এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই খেতমজুররা ধান কাটছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী। ডিসেম্বর মাসে জেলা জুড়ে দুই-তিনটা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ জেলায় ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।