ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালাস পেলেন বিএনপি নেতা আমান-মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থপাচার মামলায় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে এই মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আাইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

হাইকোর্টের এই বেঞ্চ চাঁদাবাজির মামলা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানকে খালাস দিয়েছেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমানের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নাজমুল হুদা।

২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান।

কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন মামুন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।

এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এ ছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। সেই আপিলের শুনানি শেষে রায় দিলেন হাইকোর্ট। ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন মামুন। চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগে আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচার শেষে ২০০৮ সালের  ৮ মে সাত বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। সেই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খালাস পেলেন বিএনপি নেতা আমান-মামুন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অর্থপাচার মামলায় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৭ বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে এই মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আাইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

হাইকোর্টের এই বেঞ্চ চাঁদাবাজির মামলা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানকে খালাস দিয়েছেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমানের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নাজমুল হুদা।

২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান।

কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন মামুন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।

এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এ ছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। সেই আপিলের শুনানি শেষে রায় দিলেন হাইকোর্ট। ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন মামুন। চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামের এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগে আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচার শেষে ২০০৮ সালের  ৮ মে সাত বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। সেই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।