ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৫ সালের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব ভোটার ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে এসব নাগরিক। এদিকে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে মার্চের ২ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে নতুন ইসির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে সতেরো লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক পহেলা জানুয়ারি ২০২৫ এ ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছরের হালনাগাদ দুই জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো।

তিনি বলেন, বাদ পড়া নাগরিকসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন এমন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একই সাথে যে সকল ভোটার মৃত্যুবরণ করেছে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেওয়া হবে। এছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোন জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তারা ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবেন। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৫ সালের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব ভোটার ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে এসব নাগরিক। এদিকে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে মার্চের ২ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে নতুন ইসির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে সতেরো লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক পহেলা জানুয়ারি ২০২৫ এ ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছরের হালনাগাদ দুই জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো।

তিনি বলেন, বাদ পড়া নাগরিকসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন এমন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একই সাথে যে সকল ভোটার মৃত্যুবরণ করেছে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেওয়া হবে। এছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোন জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তারা ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবেন। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারব।