উৎপাদনে যাচ্ছে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
কয়লা সংকটে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে আবারো বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে মহেশখালীর মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বুধবার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে নিজস্ব জেটিতে ভিড়েছে একটি জাহাজ। এরপর বর্তমানে কয়লা খালাসের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও আগামী রোববার ৬৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আরও একটি জাহাজ মাতারবাড়ীতে আসবে।
মাতারবাড়ির কয়লা ভিত্তিক ১২০০ মেগাওয়াটের (৬০০ মেগাওয়াটের দুটি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি কয়লা সংকটে দীর্ঘ ১ মাস বন্ধ থাকার পর ৩১ দিনের মাথায় বুধবার (২৮ নভেম্বর) কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাতারবাড়ী সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, আইনি জটিলতা শেষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এক বছরে ৩৫ লাখ মেট্রিকটন কয়লা আমদানি করার জন্য মেঘনা গ্রুপ ও বিরলা নামে যৌথ একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে জেটিতে জাহাজ ভিড়েছে। ফলে এক মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার অথবা রোববার থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবারও উৎপাদনে যাচ্ছে ৬০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।
মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, এখন বিদ্যুতের চাহিদা আগের চেয়ে কমেছে। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় ইউনিটের আরও ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যাবে।
জানা গেছে, মহেশখালীর মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এবং অপর ইউনিট ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হয়। এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয় ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। চুক্তি অনুযায়ী সুমিতমো করপোরেশন কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয় গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে, যা অক্টোবরে শেষ হয়ে যায়। সেই কয়লা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ৩১ অক্টোবর থেকে এই কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। অবশেষে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসার পর আবার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানান কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে জাপানি ঋণে। মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৬ হাজার ৯৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রকল্প ঋণ রয়েছে ৪৭ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৭ হাজার ২১১ কোটি টাকা। আর সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব তহবিল ১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিডেট।