ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই ‘শরিফ উদ্দিন’কে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি

ইমরান হোসাইন, তানোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে কেউ কেউ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এরমধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন অন্যতম। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার (সাবেক) সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। এছাড়াও তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ ক্যাবিনেট প্রয়াত মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল থেকে এ আসনে শরিফ উদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে নেতাকর্মীদের অভিমত। এজন্য হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে কর্মী সমর্থদের মুখে এমন আলোচনা চলছে সমানে। এমন আলোচনার খবরে বিএনপির রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের সুত্রপাত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠ গোছানো শুরু করেছে। এতে তৃণমুলে পচ্ছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসন নামে পরিচিত। এজন্য এ আসনে অনেকের টার্গেট। কারণ দেশ স্বাধীনের পর আ.লীগ সমর্থিত প্রথম এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচ এম কামরুজ্জামান হেনা। তিনিই দেশের প্রথম খাদ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। এরপর বিএনপি সমর্থিত প্রয়াত ব্যরিষ্টার আমিনুল হক এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। অবশ্য তিনিও ডাক ও টেলিযোগাযোগ ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। পরে আ.লীগের টিকিটে এ আসনে এমপি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনিও শিল্পপ্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশি কেউ কেউ খেলাধুলা, তাফসির মাহফিল এবং সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। আবার কেউ টাকা ছড়িয়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানতে প্রানপন চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপির আদর্শিক এবং মুল ধারার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে তারা রণে ভঙ্গ দিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির আদর্শিক রাজনীতি ও নেতৃত্বে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রয়াত মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আমিনুল হক পরিবারের কোনো বিকল্প নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন এটা প্রায় নিশ্চিত।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বরা মনোনয়নপত্র বিতরণ করেন। তাদের সুপারিশে দু’চারজনের মনোনয়ন হয়। ফলে রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বকে হারানো যায় না। তারা যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় সম্পদ। ফলে শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতার নামে বিরোধ নয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে এবং শিখতে হয়। ঠান্ডা-শীতল ঘরের রাজনৈতিক কলাকৌশল। আর যাদের এসব বোঝার সক্ষমতা নেই তারাই রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে অতল গহবরে হারিয়ে যায়।

এব্যাপারে তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলের মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, এখানে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের মনোনয়ন নিশ্চিত।

তিনি আরো বলেন, আমরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছি। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন বিএনপির ঘাঁটি। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এ আসনে শরিফ উদ্দিনের কোন বিকল্প নেই। প্রায় নিশ্চিত তিনি এই আসনে মনোনয়ন পাবেন। আমরা তার পক্ষেই আছি। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন, ইনশাল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই ‘শরিফ উদ্দিন’কে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে কেউ কেউ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এরমধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন অন্যতম। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার (সাবেক) সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। এছাড়াও তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ ক্যাবিনেট প্রয়াত মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল থেকে এ আসনে শরিফ উদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে নেতাকর্মীদের অভিমত। এজন্য হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে কর্মী সমর্থদের মুখে এমন আলোচনা চলছে সমানে। এমন আলোচনার খবরে বিএনপির রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের সুত্রপাত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠ গোছানো শুরু করেছে। এতে তৃণমুলে পচ্ছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসন নামে পরিচিত। এজন্য এ আসনে অনেকের টার্গেট। কারণ দেশ স্বাধীনের পর আ.লীগ সমর্থিত প্রথম এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচ এম কামরুজ্জামান হেনা। তিনিই দেশের প্রথম খাদ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। এরপর বিএনপি সমর্থিত প্রয়াত ব্যরিষ্টার আমিনুল হক এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। অবশ্য তিনিও ডাক ও টেলিযোগাযোগ ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। পরে আ.লীগের টিকিটে এ আসনে এমপি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনিও শিল্পপ্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশি কেউ কেউ খেলাধুলা, তাফসির মাহফিল এবং সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। আবার কেউ টাকা ছড়িয়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানতে প্রানপন চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপির আদর্শিক এবং মুল ধারার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে তারা রণে ভঙ্গ দিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির আদর্শিক রাজনীতি ও নেতৃত্বে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রয়াত মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আমিনুল হক পরিবারের কোনো বিকল্প নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন এটা প্রায় নিশ্চিত।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বরা মনোনয়নপত্র বিতরণ করেন। তাদের সুপারিশে দু’চারজনের মনোনয়ন হয়। ফলে রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বকে হারানো যায় না। তারা যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় সম্পদ। ফলে শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতার নামে বিরোধ নয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে এবং শিখতে হয়। ঠান্ডা-শীতল ঘরের রাজনৈতিক কলাকৌশল। আর যাদের এসব বোঝার সক্ষমতা নেই তারাই রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে অতল গহবরে হারিয়ে যায়।

এব্যাপারে তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলের মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, এখানে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের মনোনয়ন নিশ্চিত।

তিনি আরো বলেন, আমরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছি। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন বিএনপির ঘাঁটি। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এ আসনে শরিফ উদ্দিনের কোন বিকল্প নেই। প্রায় নিশ্চিত তিনি এই আসনে মনোনয়ন পাবেন। আমরা তার পক্ষেই আছি। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন, ইনশাল্লাহ।