ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে ন্যায্যমূল্যের বাজারে ভোক্তাদের ভিড়,স্বস্তি ফিরছে জনমনে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে লক্ষ্মীপুরে বসেছে ন্যায্যমূল্যের বাজার। এতে বেড়েছে ভোক্তাদের ভিড়। বাজার দর থেকে কমমূল্যে পণ্য পেয়ে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের যৌথ সমন্বয়ে জেলাব্যাপী ১১টি সুলভ বাজার এখন রীতিমতো সাড়া ফেলেছে ভোক্তাদের মাঝে। সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাজার মনিটরিং করে গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে বলে জানান প্রশাসন।


জানা যায়, মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। এ জেলার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষই কৃষিজীবী। ভয়াবহ বন্যা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এখন চলমান। দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আর দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে।


 নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অনেকটাই হিমশিমে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষজন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত মাসের শেষের দিকে জেলা শহরের জুবলী দিঘির পাড়ে ইউর ব্যাটম্যান নামীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে সুলভমূল্যে বাজার গড়ে তোলে প্রশাসন।


পরে শহরের তিতাখাঁ মসজিদের সামনে আরেকটি ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপন করা হয়। এসব বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে মিলছে মাছ, মাংস ও ডিম। যেখানে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পন্য ক্রয় করে নিয়ে আসা হয়। বাজার দর থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হয়। বর্তমানে জেলার ৫টি উপজেলায় একইভাবে ১১টি বাজার স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাজারে ভোক্তাদের ভিড় বেড়েছে বেশ।
কয়েকজন ভোক্তা জানান, অন্যান্য বাজারের চেয়ে সুলভ বাজারে এসে কমমূল্যে পণ্য কিনে তারা বেশ খুশি। তাদের প্রত্যাশা এসব ন্যায্য দোকান সব সময় কম দামে পন্য বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


ছাত্র প্রতিনিধি এনামুল হক,শাহিদুর রহমান রাফি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে ও জনমনে স্বস্তি ফেরাতে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের এ আয়োজনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জনমনে। সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য কিনে এনে তা বাজারে বিক্রি করায় আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। এ কার্যক্রম আব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যের বাজার বা সুলভ মূল্যের বাজারের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এতে বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিরা এগিয়ে এসেছেন। এর সুফল পাচ্ছেন জেলাবাসী। একই সঙ্গে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লক্ষ্মীপুরে ন্যায্যমূল্যের বাজারে ভোক্তাদের ভিড়,স্বস্তি ফিরছে জনমনে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে লক্ষ্মীপুরে বসেছে ন্যায্যমূল্যের বাজার। এতে বেড়েছে ভোক্তাদের ভিড়। বাজার দর থেকে কমমূল্যে পণ্য পেয়ে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের যৌথ সমন্বয়ে জেলাব্যাপী ১১টি সুলভ বাজার এখন রীতিমতো সাড়া ফেলেছে ভোক্তাদের মাঝে। সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাজার মনিটরিং করে গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে বলে জানান প্রশাসন।


জানা যায়, মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। এ জেলার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষই কৃষিজীবী। ভয়াবহ বন্যা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এখন চলমান। দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আর দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে।


 নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অনেকটাই হিমশিমে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষজন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত মাসের শেষের দিকে জেলা শহরের জুবলী দিঘির পাড়ে ইউর ব্যাটম্যান নামীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে সুলভমূল্যে বাজার গড়ে তোলে প্রশাসন।


পরে শহরের তিতাখাঁ মসজিদের সামনে আরেকটি ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপন করা হয়। এসব বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে মিলছে মাছ, মাংস ও ডিম। যেখানে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পন্য ক্রয় করে নিয়ে আসা হয়। বাজার দর থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হয়। বর্তমানে জেলার ৫টি উপজেলায় একইভাবে ১১টি বাজার স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাজারে ভোক্তাদের ভিড় বেড়েছে বেশ।
কয়েকজন ভোক্তা জানান, অন্যান্য বাজারের চেয়ে সুলভ বাজারে এসে কমমূল্যে পণ্য কিনে তারা বেশ খুশি। তাদের প্রত্যাশা এসব ন্যায্য দোকান সব সময় কম দামে পন্য বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


ছাত্র প্রতিনিধি এনামুল হক,শাহিদুর রহমান রাফি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে ও জনমনে স্বস্তি ফেরাতে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের এ আয়োজনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জনমনে। সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য কিনে এনে তা বাজারে বিক্রি করায় আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। এ কার্যক্রম আব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যের বাজার বা সুলভ মূল্যের বাজারের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এতে বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিরা এগিয়ে এসেছেন। এর সুফল পাচ্ছেন জেলাবাসী। একই সঙ্গে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।