ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানছেই না ট্রাফিক আইন

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীতে যান চলাচলে ট্রাফিক আইন শৃঙ্খলা মানছে না অনেকেই। সাধারণ মানুষের নিয়ম না মানার প্রবণতা আর ক্ষমতাবানদের আইন ভাঙার সংস্কৃতি, এ দুইয়ে চলছে, ডিএমপির ট্রাফিক শৃংখলাপক্ষ।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে এক হাজার ৮১৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে এসব মামলা করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ৫৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও রয়েছে মোটরগাড়ির জন্য প্রযোজ্য বিশেষ আইন। যা অমান্য করলে আপনার বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা মামলা হতে পারে। অতএব রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামার আগে জানতে হবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সমূহ। ১৯৮৩ সালের ‘মোটরযান আইন’ অনুযায়ী কোন অপরাধে কী শাস্তির বিধান আছে তা সংক্ষেপে পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। নিষিদ্ধ হর্ণ/হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারঃ জরিমানা ১০০ টাকা (ধারা ১৩৯), আদেশ অমান্য, বাধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতিঃ জরিমানা ৪০০ টাকা, ওয়ানওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালানো: জরিমানা ২০০ টাকা ,অতিরিক্ত গতি বা নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রæত গতিতে গাড়ি চালানো: জরিমানা ৩০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ৫০০ টাকা, দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যে সকল অপরাধ থানায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ১০০০ টাকা,

নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানো: জরিমানা ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা,কালো বা অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়া মোটরযান ব্যবহার: জরিমানা ২০০ টাকা, মোটরযান আইনের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় বা ব্যবহার, গাড়ির পরিবর্তন সাধনঃ জরিমানা ২০০০ টাকা, রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান ব্যবহারঃ জরিমানা ১৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ২৫০০।

অনুমোদন বিহীন এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োগ: জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ১০০০ টাকা, অতিরিক্ত মাল বা অনুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালনা: জরিমানা ১০০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ২০০০ টাকা। এছাড়া বীমা ব্যতীত গাড়ি চালানো: জরিমানা ৭৫০ টাকা, অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ৭৫০ টাকা, প্রকাশ্য সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিঃ জরিমানা ৫০০ টাকা, গাড়ীর ব্রেক কিংবা কোন যন্ত্র অথবা গাড়ির বডি কিংবা স্পিড গর্ভণর সীল বা ট্যাক্সি মিটারের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করাঃ জরিমানা ৫০০ টাকা, যে সকল অপরাধের জন্য মোটরযান আইনে সুনির্দিষ্ট কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেইঃ জরিমানা ২০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ৪০০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মানছেই না ট্রাফিক আইন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে যান চলাচলে ট্রাফিক আইন শৃঙ্খলা মানছে না অনেকেই। সাধারণ মানুষের নিয়ম না মানার প্রবণতা আর ক্ষমতাবানদের আইন ভাঙার সংস্কৃতি, এ দুইয়ে চলছে, ডিএমপির ট্রাফিক শৃংখলাপক্ষ।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে এক হাজার ৮১৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে এসব মামলা করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ৫৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও রয়েছে মোটরগাড়ির জন্য প্রযোজ্য বিশেষ আইন। যা অমান্য করলে আপনার বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা মামলা হতে পারে। অতএব রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামার আগে জানতে হবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সমূহ। ১৯৮৩ সালের ‘মোটরযান আইন’ অনুযায়ী কোন অপরাধে কী শাস্তির বিধান আছে তা সংক্ষেপে পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। নিষিদ্ধ হর্ণ/হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারঃ জরিমানা ১০০ টাকা (ধারা ১৩৯), আদেশ অমান্য, বাধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতিঃ জরিমানা ৪০০ টাকা, ওয়ানওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালানো: জরিমানা ২০০ টাকা ,অতিরিক্ত গতি বা নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রæত গতিতে গাড়ি চালানো: জরিমানা ৩০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ৫০০ টাকা, দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যে সকল অপরাধ থানায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ১০০০ টাকা,

নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানো: জরিমানা ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা,কালো বা অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়া মোটরযান ব্যবহার: জরিমানা ২০০ টাকা, মোটরযান আইনের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় বা ব্যবহার, গাড়ির পরিবর্তন সাধনঃ জরিমানা ২০০০ টাকা, রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান ব্যবহারঃ জরিমানা ১৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ২৫০০।

অনুমোদন বিহীন এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োগ: জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ১০০০ টাকা, অতিরিক্ত মাল বা অনুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালনা: জরিমানা ১০০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ২০০০ টাকা। এছাড়া বীমা ব্যতীত গাড়ি চালানো: জরিমানা ৭৫০ টাকা, অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ৭৫০ টাকা, প্রকাশ্য সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিঃ জরিমানা ৫০০ টাকা, গাড়ীর ব্রেক কিংবা কোন যন্ত্র অথবা গাড়ির বডি কিংবা স্পিড গর্ভণর সীল বা ট্যাক্সি মিটারের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করাঃ জরিমানা ৫০০ টাকা, যে সকল অপরাধের জন্য মোটরযান আইনে সুনির্দিষ্ট কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেইঃ জরিমানা ২০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ৪০০ টাকা।