১৬১ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি
দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জবাই করেন প্রেমিকা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
অবৈধ সম্পর্কের জেরে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমকে দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জবাই করে হত্যা করেন পরকীয়া প্রেমিকা রুমা। এরপর তিনি গুম করার উদ্দেশে মরদেহ ৭ টুকরো করে ব্যাগে ভরে সিএনজিতে করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন- পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রুমা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২) সাত টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে গুলশান থানায় একটি জিডির সূত্র ধরে লাশের পরিচয় জানতে পারি। হত্যাকাণ্ডে ভুক্তভোগী হলেন ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি বিবাহিত এবং তার সংসারে সন্তানও রয়েছে।
প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মোসা. রুমা আক্তারকে (২৮) রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আসামির দেখানো স্থান থেকে একটি চাপাতি, হ্যাক্সে ব্লেড, ভুক্তভোগীর পরিহিত সাফারি, একজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
এসপি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুমা জানান, রুমার সঙ্গে শিল্পপতি মাসুমের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তার পাশাপাশি শিল্পপতি মাসুম অন্য আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিষয়টি জানতে পেরে রুমা রাগে, ক্ষোভে তাকে খুন করেন।
রুমার জবানবন্দির বরাতে পুলিশ সুপার জানান, গত ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মূলত সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা একত্রিত হতেন। প্রথমে ব্যবসায়ী মাসুমকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর চাপাতি দিয়ে তাকে জবাই করে লাশ ৭ টুকরো করা হয়।
সেই টুকরো টুকরো অংশ বিভিন্ন স্থানে ফেলেন। গ্রেপ্তার রুমা আক্তার ময়মনসিংহ গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।