দেড় বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে দীর্ঘ ১৯ মাস ১০ দিন পর চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে দাবি আমদানিকারকদের।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল বোঝাই ট্রাক প্রবেশ শুরু হয়। তিনটি ট্রাকে প্রায় ১২০ টন চাল আমদানি হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঋত্বিক এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব চাল আমদানি করেছে। আমদানিকৃত প্রতি কেজি চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হবে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সোমবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় আমদানি বাড়বে। এতে করে দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের ১০ থেকে ১৫ জন আমদানিকারক এই পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩২ হাজার টন চাল আমদানির আইপি অনুমতি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০শে মার্চ সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয়েছিল।
শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা এসব চালের প্রতি টনের এলসি (ঋণপত্র) মূল্য ছিল ৪৩০ ডলার। পরিবহন ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজি চাল আমদানিতে প্রায় ৫২ টাকা খরচ পড়েছে। এসব চাল পাইকারি বাজারে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সরকার গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে চাল আমদানি বন্ধ রেখেছিল। সে সময় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ক–কর আরোপ করা হয়। পরে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চলতি সপ্তাহে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৫ আমদানিকারক প্রায় ৩৫ হাজার টন চাল আমদানির আইপি (আমদানি অনুমতি) পেয়েছেন। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয়েছিল।