ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেয়া হয় শিশু জেরিনকে

সিলেট ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিখোঁজের ৭ দিন পর সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

মুনতাহার বাবা দাবি করেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সাথে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সাথে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল জানান, রোববার ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখ বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজে পোস্ট দেয়া হয়। গত ৩ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু মুনতাহা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেয়া হয় শিশু জেরিনকে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

নিখোঁজের ৭ দিন পর সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

মুনতাহার বাবা দাবি করেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সাথে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সাথে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল জানান, রোববার ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখ বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজে পোস্ট দেয়া হয়। গত ৩ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু মুনতাহা।