ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলার হার, ডেমোক্র্যাট শিবিরে অন্তর্কোন্দল

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পেলেও শেষে পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রতিদ্বদ্বিতাই গড়তে পারেননি কমলা হ্যারিস। ট্রাম্পের কাছে তার বড় পরাজয়ের পর এরইমধ্যে দলটিতে অন্তর্কোন্দল  শুরু হয়েছে। কমলার পরাজয়ের নেপথ্যে বড় কারণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দুষছেন ডেমোক্র্যাটরা।

কমলার হারের পিছনে বাইডেনকে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে আগে বাইডেন সরে দাঁড়ালে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করতে পারত। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রতিদ্ব›িদ্বতা হলে কমলা জিততেন। এমনটাই  মনে করেছেন তিনি।

২০২০ সালের মতো গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনেও বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাথে প্রথম বিতর্কে খারাপ করার পর দলের চাপে গত জুলাইয়ে নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাইডেন। এরপর কমলা হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল পেলোসির। রিপাবলিকান ট্রাম্পের কাছে কমলার হারের জন্য পেলোসি ছাড়াও অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনকে দোষারোপ করা হচ্ছে। কমলা হ্যারিসের উপদেষ্টারাও হারের জন্য বাইডেনকে দায়ী করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলার বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা  বলেন, নির্বাচনী প্রচারে কোনো কমতি না থাকলেও প্রচারের জন্য সময় পাওয়া গেছে অল্প। বাইডেন যদি আরও আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যেতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইডেনের এক উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে হারের পেছনে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টাদের দায় রয়েছে।

এর কারণ, বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলে উসকানি দিয়েছেন তারা। কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হোন, তা চাননি সাবেক এই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা। যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। তবে বাইডেন-ঘনি দের মুখে অন্য কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাইডেনের এক সাবেক উপদেষ্টা বলেন, ট্রাম্পের সাথে হার নিয়ে হ্যারিস ও তার সমর্থকরা এখন অজুহাত দিচ্ছেন। নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের তুলনায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কেন সুফল পাওয়া গেল না সেই প্রশ্ন তার।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ও ডেমোক্র্যাট নেতা জন ফেটারম্যান অবশ্য মনে করে বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীরাই নির্বাচনে হারের জন্য দায়ী। তিনি বলেন, তারা বাইডেনকে সরিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল।

নিউইয়র্কের কংগ্রেসম্যান ও দলের নেতা টম সুওজি’র মতে, নির্বাচনী প্রচারে রিপাবলিকানরা আক্রমণাত্মক অবস্থান নিলেও পাল্টা অবস্থান নিতে পারেননি তারা। দলের ভুল নীতির কারণে সংখ্যালঘু অনেক ভোট হারাতে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কমলার হার, ডেমোক্র্যাট শিবিরে অন্তর্কোন্দল

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পেলেও শেষে পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রতিদ্বদ্বিতাই গড়তে পারেননি কমলা হ্যারিস। ট্রাম্পের কাছে তার বড় পরাজয়ের পর এরইমধ্যে দলটিতে অন্তর্কোন্দল  শুরু হয়েছে। কমলার পরাজয়ের নেপথ্যে বড় কারণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দুষছেন ডেমোক্র্যাটরা।

কমলার হারের পিছনে বাইডেনকে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে আগে বাইডেন সরে দাঁড়ালে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করতে পারত। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রতিদ্ব›িদ্বতা হলে কমলা জিততেন। এমনটাই  মনে করেছেন তিনি।

২০২০ সালের মতো গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনেও বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে লড়াই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাথে প্রথম বিতর্কে খারাপ করার পর দলের চাপে গত জুলাইয়ে নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাইডেন। এরপর কমলা হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল পেলোসির। রিপাবলিকান ট্রাম্পের কাছে কমলার হারের জন্য পেলোসি ছাড়াও অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনকে দোষারোপ করা হচ্ছে। কমলা হ্যারিসের উপদেষ্টারাও হারের জন্য বাইডেনকে দায়ী করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলার বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা  বলেন, নির্বাচনী প্রচারে কোনো কমতি না থাকলেও প্রচারের জন্য সময় পাওয়া গেছে অল্প। বাইডেন যদি আরও আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বেশি সময় পাওয়া যেতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইডেনের এক উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে হারের পেছনে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টাদের দায় রয়েছে।

এর কারণ, বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলে উসকানি দিয়েছেন তারা। কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হোন, তা চাননি সাবেক এই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা। যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। তবে বাইডেন-ঘনি দের মুখে অন্য কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাইডেনের এক সাবেক উপদেষ্টা বলেন, ট্রাম্পের সাথে হার নিয়ে হ্যারিস ও তার সমর্থকরা এখন অজুহাত দিচ্ছেন। নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের তুলনায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কেন সুফল পাওয়া গেল না সেই প্রশ্ন তার।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ও ডেমোক্র্যাট নেতা জন ফেটারম্যান অবশ্য মনে করে বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীরাই নির্বাচনে হারের জন্য দায়ী। তিনি বলেন, তারা বাইডেনকে সরিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল।

নিউইয়র্কের কংগ্রেসম্যান ও দলের নেতা টম সুওজি’র মতে, নির্বাচনী প্রচারে রিপাবলিকানরা আক্রমণাত্মক অবস্থান নিলেও পাল্টা অবস্থান নিতে পারেননি তারা। দলের ভুল নীতির কারণে সংখ্যালঘু অনেক ভোট হারাতে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।