ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার, বিএনপি 

শহিদুল ইসলাম দইচ যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টেন্ডার নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিএনপি নেতা এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ ও যুবদল নেতা হাবিবুল্লাহকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তারা জানতে পেরেছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা বিএনপি বিষয়টি  নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য মনে করে এবং তারা এর তীব্র নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কতিপয় ঠিকাদার ও হাসপাতাল সুপারের ভেতরকার এই ঘটনার সাথে কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপি যেমন রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই, তেমন টেন্ডার সংক্রান্ত বা দখলদারিত্বের মত কোনও বিষয় বিএনপির কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতা দলে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বা ঠিকাদারী কাজে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে সে ব্যক্তি দলের যে কোনও স্তরের নেতা বা কর্মি হোক তার বিরুদ্ধে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। ফলে এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহকে যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিগত পতিত সরকারের টেন্ডারবাজি ও দখলবাজির কারণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। তাই কোনোরকম টেন্ডারবাজি ও দখলবাজি বিএনপি সমর্থন করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। তাই বিএনপি’র অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কোন ব্যক্তি যদি এহেন কোনও কর্মকাণ্ডের সাথে ন্যূনতম সংশ্লিষ্ট হন, তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন বলে কঠোর হুশিয়ারি প্রদান করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার, বিএনপি 

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

টেন্ডার নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিএনপি নেতা এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ ও যুবদল নেতা হাবিবুল্লাহকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তারা জানতে পেরেছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা বিএনপি বিষয়টি  নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য মনে করে এবং তারা এর তীব্র নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কতিপয় ঠিকাদার ও হাসপাতাল সুপারের ভেতরকার এই ঘটনার সাথে কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপি যেমন রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই, তেমন টেন্ডার সংক্রান্ত বা দখলদারিত্বের মত কোনও বিষয় বিএনপির কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতা দলে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বা ঠিকাদারী কাজে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে সে ব্যক্তি দলের যে কোনও স্তরের নেতা বা কর্মি হোক তার বিরুদ্ধে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে। ফলে এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহকে যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিগত পতিত সরকারের টেন্ডারবাজি ও দখলবাজির কারণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। তাই কোনোরকম টেন্ডারবাজি ও দখলবাজি বিএনপি সমর্থন করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। তাই বিএনপি’র অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কোন ব্যক্তি যদি এহেন কোনও কর্মকাণ্ডের সাথে ন্যূনতম সংশ্লিষ্ট হন, তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন বলে কঠোর হুশিয়ারি প্রদান করা হচ্ছে।