ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলমান নাগরিক সমাজের ৮ দফা দাবি (ভিডিও)

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে আট দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সুনামগঞ্জের মুসলমান নাগরিক সমাজ সংগঠনটির সদস্যরা। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা।

সমাবেশ তাদের দাবিগুলো হলো-
১ম দফা- পবিত্র শানে মানহানী করলে শরঈ শাস্তি নিশ্চিত করণ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে তার শরঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

২ দফা- পাঠ্যক্রমে নূরে মুসজাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভূক্তকরণ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে শিক্ষানীতিতে এমন কোন নীতি রাখা যাবে না, যা পবিত্র দ্বীন ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।

৩য় দফা- পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিকে সংবিধান সংশোধন করা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে। জনগণের দাবী হচ্ছে, সংবিধান যারাই সংস্কার করুক, সংবিধানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দ্বীনি অনুভূতির প্রতিফলন থাকতে হবে।

৪ দফা- দ্রব্যমূল্য ও চিকি সা সেবার উর্ধ্বগতি হ্রাস করা: দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সব কিছুর দাম বেশি। বাজারে শাক-সবজীতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। মাছ-গোশতের দাম বাড়ায় এতদিন গরীব-মধ্যবিত্তের আমিষের চাহিদা পূরণ করতো ডিম। সেই একটি ডিমের দামও বেড়েছে। আগে চালের দাম বাড়লে বলা হতো আলু খান। এখন চাল-আলুর দাম সমানে সমান। মানুষ তাহলে খাবে কী?
৫ম দফা- পাহাড়ে উপজাতিদের পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্র দমন করা:
তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে ভিন্ন রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্র করছে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো। এজন্য তারা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবী করছে এবং আমেরিকা-ভারত বা জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন বিদেশীদের সহায়তা কামনা করে স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবী তুলছে। পাহাড়ি উপজাতিদের এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবে না। সরকারের এ দিকে তীক্ষ্ণ নজর দিতে হবে, প্রয়োজনে পাহাড়ে সেনা চৌকি ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করতে হবে। উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক ৪০ হাজার বাঙালী হত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে।

৬ষ্ঠ দফা- হিন্দুত্ববাদী ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ বন্ধ করা: বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত বিরোধী বড় বড় কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা আওয়ামীলীগের মতই ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ নীতি অব্যাহত রেখেছে।

৭ম দফা- ভারতসহ বিশ্বের যে কোন স্থানে মুসলমান নির্যাতন হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করা:
সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কদমতলা এলাকায় এখন মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা হচ্ছে। জানা যায়, দূর্গা পূজার জন্য মুসলমানদের থেকে চাঁদাবাজি করতে যায় হিন্দুত্ববাদীরা।

৮ম দফা- মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ না করা: বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজেদের অধিকারের কথা বললেই অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ বলছে, “বাংলাদেশের মুসলমানদের এসব বিষয়ে কথা বলার দরকার নেই। মুসলমানদের এখন চুপ থাকতে হবে। নয়ত ভারতসহ বিদেশীরা ইস্যু পাবে।” দেখা যাচ্ছে, যে সরকার বাক স্বাধীনতার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে, তারাই এখন মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করতে চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মুসলমান নাগরিক সমাজের ৮ দফা দাবি (ভিডিও)

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে আট দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সুনামগঞ্জের মুসলমান নাগরিক সমাজ সংগঠনটির সদস্যরা। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা।

সমাবেশ তাদের দাবিগুলো হলো-
১ম দফা- পবিত্র শানে মানহানী করলে শরঈ শাস্তি নিশ্চিত করণ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে তার শরঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

২ দফা- পাঠ্যক্রমে নূরে মুসজাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভূক্তকরণ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে শিক্ষানীতিতে এমন কোন নীতি রাখা যাবে না, যা পবিত্র দ্বীন ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।

৩য় দফা- পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিকে সংবিধান সংশোধন করা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে। জনগণের দাবী হচ্ছে, সংবিধান যারাই সংস্কার করুক, সংবিধানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দ্বীনি অনুভূতির প্রতিফলন থাকতে হবে।

৪ দফা- দ্রব্যমূল্য ও চিকি সা সেবার উর্ধ্বগতি হ্রাস করা: দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সব কিছুর দাম বেশি। বাজারে শাক-সবজীতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। মাছ-গোশতের দাম বাড়ায় এতদিন গরীব-মধ্যবিত্তের আমিষের চাহিদা পূরণ করতো ডিম। সেই একটি ডিমের দামও বেড়েছে। আগে চালের দাম বাড়লে বলা হতো আলু খান। এখন চাল-আলুর দাম সমানে সমান। মানুষ তাহলে খাবে কী?
৫ম দফা- পাহাড়ে উপজাতিদের পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্র দমন করা:
তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে ভিন্ন রাষ্ট্র গঠন করার ষড়যন্ত্র করছে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো। এজন্য তারা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবী করছে এবং আমেরিকা-ভারত বা জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন বিদেশীদের সহায়তা কামনা করে স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবী তুলছে। পাহাড়ি উপজাতিদের এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবে না। সরকারের এ দিকে তীক্ষ্ণ নজর দিতে হবে, প্রয়োজনে পাহাড়ে সেনা চৌকি ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করতে হবে। উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক ৪০ হাজার বাঙালী হত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে।

৬ষ্ঠ দফা- হিন্দুত্ববাদী ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ বন্ধ করা: বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত বিরোধী বড় বড় কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা আওয়ামীলীগের মতই ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ নীতি অব্যাহত রেখেছে।

৭ম দফা- ভারতসহ বিশ্বের যে কোন স্থানে মুসলমান নির্যাতন হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করা:
সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কদমতলা এলাকায় এখন মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা হচ্ছে। জানা যায়, দূর্গা পূজার জন্য মুসলমানদের থেকে চাঁদাবাজি করতে যায় হিন্দুত্ববাদীরা।

৮ম দফা- মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ না করা: বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজেদের অধিকারের কথা বললেই অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ বলছে, “বাংলাদেশের মুসলমানদের এসব বিষয়ে কথা বলার দরকার নেই। মুসলমানদের এখন চুপ থাকতে হবে। নয়ত ভারতসহ বিদেশীরা ইস্যু পাবে।” দেখা যাচ্ছে, যে সরকার বাক স্বাধীনতার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে, তারাই এখন মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করতে চায়।