ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল নেতার হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় এক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম (২৭) একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যু্গ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন,বুধবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিল। ওই সময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। তখন পাশেই ছিল ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক সেবীকে মারধর করতে উদ্যত হয়। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মুঠোফোনে কল দিয়ে মাসুমকে জানায় বিষয়টি বিকেলে তারাসহ বসে সমাধান করে দিবে। তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করে। এরপর সে একটি ফার্মেসি দোকানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে যায়। পরে ওই দোকান কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পুনরায় মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওপরে একটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরবর্তীতে মাসুমের বাম পেয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীর সাথে সম্পৃক্ত। অনেক আগে সে ছাত্রদল করত। গত ছয় মাস আগে সে জামায়াতে যোগদান করে। এজন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কাহারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে বিষয়টি জানিনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়াবারতো প্রশ্নই আসেনা। মামলা সাজানোর জন্য ইয়াবার কথা আসছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ছাত্রদল নেতার হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় এক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম (২৭) একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যু্গ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন,বুধবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিল। ওই সময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। তখন পাশেই ছিল ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক সেবীকে মারধর করতে উদ্যত হয়। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মুঠোফোনে কল দিয়ে মাসুমকে জানায় বিষয়টি বিকেলে তারাসহ বসে সমাধান করে দিবে। তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করে। এরপর সে একটি ফার্মেসি দোকানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে যায়। পরে ওই দোকান কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পুনরায় মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওপরে একটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরবর্তীতে মাসুমের বাম পেয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীর সাথে সম্পৃক্ত। অনেক আগে সে ছাত্রদল করত। গত ছয় মাস আগে সে জামায়াতে যোগদান করে। এজন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কাহারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে বিষয়টি জানিনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়াবারতো প্রশ্নই আসেনা। মামলা সাজানোর জন্য ইয়াবার কথা আসছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।