ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্মগোপনে থেকে ভিডিও বার্তা দিলেন আ’ লীগ নেতা নানক

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আত্মগোপনে থেকে লাইভ ভিডিও বার্তায় সরব হলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, এই সরকার দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করে গণহত্যার দায় এড়াতে ইনডেমনিটি দিচ্ছে, যা তাদের অপরাধের সরাসরি প্রমাণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জাহাঙ্গীর কবির নানক আত্মগোপনে আছেন। বৃহস্পতিবারই প্রথম তিনি সামনে এলেন। প্রায় ১১ মিনিট ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’ বলে উল্লেখ করেন নানক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধান অনুযায়ী সশরীরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে লিখিত পদত্যাগপত্র দেননি। এর মানে তিনি এখনও বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী আর, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার অবৈধ। তার মতে, সরকার অবৈধ। তাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার অধিকার তাদের নেই।

দেশে এখন জোর যার মুল্লুক তার পরিস্থিতি- এই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য দাবি করেন, আওয়ামী লীগ কখনও কাউকে মারেনি, নিপীড়ন করেনি। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার ওপর হত্যার দায় চাপিয়ে জনগণকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সব হত্যার দায় সরকার ও সমন্বয়কদের।

বাংলাদেশে এখন ফ্যাসিস্ট শাসন চালু হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে এগোচ্ছে।

নানক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা আসলে দুর্ভাগ্যজনক। মহামান্য রাষ্ট্রপতি হলেন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অভিভাবক, সে রাষ্ট্রপতির প্রতি যে অসম্মান দেখানো হচ্ছে এটা একটা ভয়াবহ প্রবণতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ‘কিশোর গ্যাং’ থেকে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নানক। তিনি বলেন, হিযবুত তাহরীর, জামায়াত-শিবিরসহ জঙ্গিরা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। মাস্টারমাইন্ডের এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য ছিল এই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে মুছে ফেলা। যেটি প্রমাণিত হয়েছে গত আড়াই মাসে।

নানক বলেন, ইউনূস সরকার দেশের মানুষের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, তিন হাজারের অধিক পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, যেটির বিচারকাজ এই অবৈধ সরকার গণহত্যাকারী আসামিদের ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি দিয়েছে, ইনডেমনিটি দেওয়া কি প্রমাণ নয় যে এরাই গণহত্যা চালিয়েছিল? হত্যা যদি না করেই থাকে তাহলে ইনডেমনিটি দিতে হবে কেন? ইনডেমনিটি প্রদানই গণহত্যার ডিরেক্ট এভিডেন্স।

এই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামেরও আহ্বান জানান নানক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আত্মগোপনে থেকে ভিডিও বার্তা দিলেন আ’ লীগ নেতা নানক

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আত্মগোপনে থেকে লাইভ ভিডিও বার্তায় সরব হলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, এই সরকার দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করে গণহত্যার দায় এড়াতে ইনডেমনিটি দিচ্ছে, যা তাদের অপরাধের সরাসরি প্রমাণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জাহাঙ্গীর কবির নানক আত্মগোপনে আছেন। বৃহস্পতিবারই প্রথম তিনি সামনে এলেন। প্রায় ১১ মিনিট ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’ বলে উল্লেখ করেন নানক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধান অনুযায়ী সশরীরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে লিখিত পদত্যাগপত্র দেননি। এর মানে তিনি এখনও বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী আর, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার অবৈধ। তার মতে, সরকার অবৈধ। তাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার অধিকার তাদের নেই।

দেশে এখন জোর যার মুল্লুক তার পরিস্থিতি- এই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য দাবি করেন, আওয়ামী লীগ কখনও কাউকে মারেনি, নিপীড়ন করেনি। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার ওপর হত্যার দায় চাপিয়ে জনগণকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সব হত্যার দায় সরকার ও সমন্বয়কদের।

বাংলাদেশে এখন ফ্যাসিস্ট শাসন চালু হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে এগোচ্ছে।

নানক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা আসলে দুর্ভাগ্যজনক। মহামান্য রাষ্ট্রপতি হলেন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অভিভাবক, সে রাষ্ট্রপতির প্রতি যে অসম্মান দেখানো হচ্ছে এটা একটা ভয়াবহ প্রবণতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ‘কিশোর গ্যাং’ থেকে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নানক। তিনি বলেন, হিযবুত তাহরীর, জামায়াত-শিবিরসহ জঙ্গিরা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। মাস্টারমাইন্ডের এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য ছিল এই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে মুছে ফেলা। যেটি প্রমাণিত হয়েছে গত আড়াই মাসে।

নানক বলেন, ইউনূস সরকার দেশের মানুষের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, তিন হাজারের অধিক পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, যেটির বিচারকাজ এই অবৈধ সরকার গণহত্যাকারী আসামিদের ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি দিয়েছে, ইনডেমনিটি দেওয়া কি প্রমাণ নয় যে এরাই গণহত্যা চালিয়েছিল? হত্যা যদি না করেই থাকে তাহলে ইনডেমনিটি দিতে হবে কেন? ইনডেমনিটি প্রদানই গণহত্যার ডিরেক্ট এভিডেন্স।

এই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামেরও আহ্বান জানান নানক।