ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী

আবু-হানিফ,বাগেরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বছর দুয়েক ধরে বাগেরহাটের মোংলা ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙ্গনে রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের রোমজায়পুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের দুই কিলোমিটার জুড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, পাকা সড়ক, নানা স্থাপনাসহ চিংড়ি ঘের।

আরও পড়ুন : যমুনা গিলে খাচ্ছে ইসলামপুর

অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকিতে রয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন কবলিত রোমজায়পুর গ্রামবাসীর কষ্টের চিত্র মঞ্চনাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন কিছু তরুণ-তরুণী।নাটকের মাধ্যমে তারা কষ্টের বিষয়টি মানুষকে জানানোর পাশাপাশি বেরিবাঁধের দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)দুপুরে বাগেরহাট শহরের্ এসিলাহা মিলনায়তনে “নদীরতীরে, জীবন জ্বলে” শিরোনামে মানব উন্নয়ন সংস্থা ও এ্যাকশন এইডের সহযোগিতায় এই নাটক প্রদর্শন করা হয়। নাটক প্রদর্শণ শেষে টেকসই বেরিবাঁধের দাবিতে গনস্বাক্ষর গগ্রহন করা হয়।

আরও পড়ুন : ছোট হয়ে আসছে সুন্দরবন

এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী। বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর বাগেরহাটের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক, মৎষ অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক রাজকুমার বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের উপ সহকারী প্রকৌশলী হোসনেয়ারা জামিল সুমানা, একশন এইড বাংলাদেশের ইন্সপাইরেটর সুইটি খানসহ রোমজায়পুরের গ্রামের তরুণ-তরুণীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন : বসতভিটা হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয়

তরুণ-তরুণীরা জানান, ঘষিয়াখালী চ্যানেলের তীরের ভাঙ্গনে রোমজায়পুর গ্রাম এখন বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে কয়েকশ একর জমি ও বেশিকিছু ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এই গ্রামের বিপরীত পাশ দিয়ে একটি চর জেগেছে, চরটি মূলত এখন প্রভাবশালীদের দখলের রয়েছে। ওই চরটি খনন করে দিলে চ্যানেলের স্রোত ওই দিক দেয়ে গেলে এই গ্রামের ভাঙ্গন রোধ হওয়া সম্ভব। গ্রামটিকে রক্ষার জন্য অতিদ্রুত টেকসই বেরিবাঁধ নির্মানের দাবি জানান তারা।

রোমজায়পুর এলাকার বাসিন্দারা আরও বলেন, ভৌগলিক কারণে রামপাল উপজেলা লবনাক্ত এলাকা । এরপরেও চিংড়ি চাষের অযুহাতে প্রতি বছর হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে লবন পানি প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে অনাবাদি থঅকে হাজার হাজার হেক্টর জমি।অপরিকল্পিতভাবে নদী ও খালে বাঁধ দেওয়া, প্লাবন ভূমি আটকে মাছ চাষ, রাস্তা ও বাঁধ কেটে পানি প্রবেশ করানো এবং নদীর মধ্য থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পেরিখালি ইউনিয়নের উড়ুবুনিয়া থেকে রোমজয়পুর পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হবে।

আরও পড়ুন :সংযোগ সেতু ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নাটক ও তরুন-তরুনীদের বক্তব্য শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপালের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বেরিবাঁধ নেই। বেরিবাঁধ না থাকায় রোমজায়পুর এলাকাও খুবই ঝুকিপূর্ণ। সরেজমিন পরিদর্শন করে কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বছর দুয়েক ধরে বাগেরহাটের মোংলা ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙ্গনে রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের রোমজায়পুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের দুই কিলোমিটার জুড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, পাকা সড়ক, নানা স্থাপনাসহ চিংড়ি ঘের।

আরও পড়ুন : যমুনা গিলে খাচ্ছে ইসলামপুর

অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকিতে রয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন কবলিত রোমজায়পুর গ্রামবাসীর কষ্টের চিত্র মঞ্চনাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন কিছু তরুণ-তরুণী।নাটকের মাধ্যমে তারা কষ্টের বিষয়টি মানুষকে জানানোর পাশাপাশি বেরিবাঁধের দাবি করেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)দুপুরে বাগেরহাট শহরের্ এসিলাহা মিলনায়তনে “নদীরতীরে, জীবন জ্বলে” শিরোনামে মানব উন্নয়ন সংস্থা ও এ্যাকশন এইডের সহযোগিতায় এই নাটক প্রদর্শন করা হয়। নাটক প্রদর্শণ শেষে টেকসই বেরিবাঁধের দাবিতে গনস্বাক্ষর গগ্রহন করা হয়।

আরও পড়ুন : ছোট হয়ে আসছে সুন্দরবন

এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী। বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর বাগেরহাটের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক, মৎষ অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক রাজকুমার বিশ্বাস, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের উপ সহকারী প্রকৌশলী হোসনেয়ারা জামিল সুমানা, একশন এইড বাংলাদেশের ইন্সপাইরেটর সুইটি খানসহ রোমজায়পুরের গ্রামের তরুণ-তরুণীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন : বসতভিটা হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয়

তরুণ-তরুণীরা জানান, ঘষিয়াখালী চ্যানেলের তীরের ভাঙ্গনে রোমজায়পুর গ্রাম এখন বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে কয়েকশ একর জমি ও বেশিকিছু ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এই গ্রামের বিপরীত পাশ দিয়ে একটি চর জেগেছে, চরটি মূলত এখন প্রভাবশালীদের দখলের রয়েছে। ওই চরটি খনন করে দিলে চ্যানেলের স্রোত ওই দিক দেয়ে গেলে এই গ্রামের ভাঙ্গন রোধ হওয়া সম্ভব। গ্রামটিকে রক্ষার জন্য অতিদ্রুত টেকসই বেরিবাঁধ নির্মানের দাবি জানান তারা।

রোমজায়পুর এলাকার বাসিন্দারা আরও বলেন, ভৌগলিক কারণে রামপাল উপজেলা লবনাক্ত এলাকা । এরপরেও চিংড়ি চাষের অযুহাতে প্রতি বছর হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে লবন পানি প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে অনাবাদি থঅকে হাজার হাজার হেক্টর জমি।অপরিকল্পিতভাবে নদী ও খালে বাঁধ দেওয়া, প্লাবন ভূমি আটকে মাছ চাষ, রাস্তা ও বাঁধ কেটে পানি প্রবেশ করানো এবং নদীর মধ্য থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পেরিখালি ইউনিয়নের উড়ুবুনিয়া থেকে রোমজয়পুর পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হবে।

আরও পড়ুন :সংযোগ সেতু ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নাটক ও তরুন-তরুনীদের বক্তব্য শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপালের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বেরিবাঁধ নেই। বেরিবাঁধ না থাকায় রোমজায়পুর এলাকাও খুবই ঝুকিপূর্ণ। সরেজমিন পরিদর্শন করে কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।