ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

আজিজুল বুলু,নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারী’র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আন্দোলনে প্রভাবে নষ্ঠ হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।শিক্ষাঙ্গণে শিক্ষা পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোযাগি করার নিরলস প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।

সম্প্রতি নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার অপসরণে দাবীতে আন্দোলন কর্মসুচী পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী অফিসার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে তার অপসরণের অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ অভিযোগের সুত্র ধরে (২৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গেলে:ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা জানান,তার বিরুদ্ধে যে সব দাবী নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তাদের দাবী গুলো যৌতিক বরে আমি মনে করি।তাদের দাবী গুলো পূরণ করাও সম্ভব।তবে সময় লাগবে। আন্দোনলকারী শিক্ষর্থীদের কাছে আন্দোলনের কারণ জানতে চাইলে অনেকে বলেছেন আন্দোলনের কারণ তারা জানেনা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারী দশম শ্রেণীর ছাত্ররা জানান:ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি দাবী আদায়ের লক্ষ্যে। দাবী গুলো হচ্ছে:অসমাপ্ত শহীদ মিনারের কাজ সমাপ্ত করতে হবে, প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামরার আওতায় আনতে হবে, শিক্ষার্থীদের সাইকেল পার্কিং(গ্যারেজ) সেট নির্মাণ করতে হবে,শিক্ষার্থী বোনদের নামাজ সু-ব্যবস্থা করতে হবে, আর বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।ম্যাডামের বিরুদ্ধে কোন দুনীতির অভিযোগ নেই।এ দাবী পুরণ না করলে তাকে বিদায় নিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের একজন সহকারী শিক্ষক জানান:ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার নিয়োগ প্রক্রিয়া সচ্ছ ছিলোনা।কারণ তাকে সহকারী শিক্ষকের জ্যোষ্ঠতা লঙ্ঘন করে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার নিয়োগ প্রক্রিয়ার শর্ত পূরণ করে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই সহকারী প্রধান শিক্ষাক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছে বরে দাবী করেন তিনি।এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছিলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান শফিকুল ইসলাম।তিনি ২০২৪ সালের ৪ মার্চ অবসরে গেলে পদাধিকার বলে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িভার গ্রহন করি।এটা আমার প্রাপ্য অধিকার।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হকের কাছে জানাতে চাইলে তিনি জানান, রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা পরিবেশ ফিরাতে কাজ করছে প্রশাসন। মেধা বিকাশের স্থান হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিশ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তারদের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নীলফামারী’র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আন্দোলনে প্রভাবে নষ্ঠ হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।শিক্ষাঙ্গণে শিক্ষা পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোযাগি করার নিরলস প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।

সম্প্রতি নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার অপসরণে দাবীতে আন্দোলন কর্মসুচী পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী অফিসার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে তার অপসরণের অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ অভিযোগের সুত্র ধরে (২৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গেলে:ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা জানান,তার বিরুদ্ধে যে সব দাবী নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তাদের দাবী গুলো যৌতিক বরে আমি মনে করি।তাদের দাবী গুলো পূরণ করাও সম্ভব।তবে সময় লাগবে। আন্দোনলকারী শিক্ষর্থীদের কাছে আন্দোলনের কারণ জানতে চাইলে অনেকে বলেছেন আন্দোলনের কারণ তারা জানেনা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারী দশম শ্রেণীর ছাত্ররা জানান:ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি দাবী আদায়ের লক্ষ্যে। দাবী গুলো হচ্ছে:অসমাপ্ত শহীদ মিনারের কাজ সমাপ্ত করতে হবে, প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামরার আওতায় আনতে হবে, শিক্ষার্থীদের সাইকেল পার্কিং(গ্যারেজ) সেট নির্মাণ করতে হবে,শিক্ষার্থী বোনদের নামাজ সু-ব্যবস্থা করতে হবে, আর বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।ম্যাডামের বিরুদ্ধে কোন দুনীতির অভিযোগ নেই।এ দাবী পুরণ না করলে তাকে বিদায় নিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের একজন সহকারী শিক্ষক জানান:ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার নিয়োগ প্রক্রিয়া সচ্ছ ছিলোনা।কারণ তাকে সহকারী শিক্ষকের জ্যোষ্ঠতা লঙ্ঘন করে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার নিয়োগ প্রক্রিয়ার শর্ত পূরণ করে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই সহকারী প্রধান শিক্ষাক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছে বরে দাবী করেন তিনি।এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছিলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান শফিকুল ইসলাম।তিনি ২০২৪ সালের ৪ মার্চ অবসরে গেলে পদাধিকার বলে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িভার গ্রহন করি।এটা আমার প্রাপ্য অধিকার।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হকের কাছে জানাতে চাইলে তিনি জানান, রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা পরিবেশ ফিরাতে কাজ করছে প্রশাসন। মেধা বিকাশের স্থান হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিশ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তারদের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।