ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

সুপন রায়
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৭৫’র ১৫ আগস্টে জাতির জনককে হত্যার পর আওয়ামী লীগ বিভ্রান্ত হয়ে যায়, বিভক্ত হয়, হয়ে যায় নেতৃত্বশূন্য। ওই সময় অনেকেই মনে করেছিলো আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তবে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের হাল না ধরতেন এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না করতেন, তাহলে তাই ঘটতে পারতো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা শুরু হয় ১৯৪৯ সালে। একই বছর ২৩-২৪ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনে বশির সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাসভবনে প্রগতিবাদী ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের প্রথম প্রধান বিরোধী দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। আর সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর দলের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে। তাতে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক নির্ভাচিত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে দলের তৃতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক সংগঠনে পরিণত হয়। দলের নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এরপর কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বহাল থাকেন।

’৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নির্ণয়ে সোহরাওয়ার্দী-ভাসানীর মতপার্থক্যের কারণে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ ভেঙে যায়। ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। মূল দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।

’৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হলে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর ’৬৪ সালে দলের কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তর্কবাগীশ-মুজিব অপরিবর্তিত থাকেন।

১৯৬৬ সালের দলের কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দিন আহমেদ। এরপর ’৬৮ ও ’৭০ সালের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় এই কমিটির মাধ্যমে। ১৯৭২ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ’

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। এসময় দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবারো স্থগিত করা হয়।

এরপর ১৯৭৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা মিজান চৌধুরী ও মোল্লা জালালউদ্দিনকে নিয়ে নেতৃত্বের কোন্দল শুরু হয়। সেই সময় আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।

৭৮ সালের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন আবদুল মালেক উকিল। আর সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক।

সঠিক নেতৃত্বের কারণে দলের মধ্যে সমস্যা দেখা দিলে নির্বাসনে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা ও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার আগেই ’৮১ সালের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্ভাচিত করা হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন আবদুর রাজ্জাক।

তারপর ১৯৮৩ সালে আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে বাকশাল গঠন করে। এসময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালের কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্ভাচিত হন।

’৯২ ও ’৯৭ সালের সম্মেলনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান । ২০০০ সালের বিশেষ কাউন্সিলে আগের কমিটি বহাল থাকে। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলে শেখ হাসিনা এবং প্রয়াত আবদুল জলিল দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই, ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের দু’টি কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি পদে বহাল থাকেন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা বহাল থাকেন। দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বর্তমান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ বছরের জন্যে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে মাশরাফিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারপর বাকি ফাঁকা পদগুলোতে নাম আসে ১ জানুয়ারি ২০২৩ অনুষ্ঠিত গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা মাধ্যমে।

লেখক : সুপন রায়

সাংবাদিক ও কলামিষ্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

৭৫’র ১৫ আগস্টে জাতির জনককে হত্যার পর আওয়ামী লীগ বিভ্রান্ত হয়ে যায়, বিভক্ত হয়, হয়ে যায় নেতৃত্বশূন্য। ওই সময় অনেকেই মনে করেছিলো আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তবে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের হাল না ধরতেন এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না করতেন, তাহলে তাই ঘটতে পারতো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা শুরু হয় ১৯৪৯ সালে। একই বছর ২৩-২৪ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনে বশির সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাসভবনে প্রগতিবাদী ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের প্রথম প্রধান বিরোধী দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। আর সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর দলের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে। তাতে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক নির্ভাচিত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে দলের তৃতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক সংগঠনে পরিণত হয়। দলের নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এরপর কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বহাল থাকেন।

’৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নির্ণয়ে সোহরাওয়ার্দী-ভাসানীর মতপার্থক্যের কারণে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ ভেঙে যায়। ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। মূল দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান।

’৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হলে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর ’৬৪ সালে দলের কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তর্কবাগীশ-মুজিব অপরিবর্তিত থাকেন।

১৯৬৬ সালের দলের কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দিন আহমেদ। এরপর ’৬৮ ও ’৭০ সালের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় এই কমিটির মাধ্যমে। ১৯৭২ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ’

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। এসময় দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবারো স্থগিত করা হয়।

এরপর ১৯৭৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা মিজান চৌধুরী ও মোল্লা জালালউদ্দিনকে নিয়ে নেতৃত্বের কোন্দল শুরু হয়। সেই সময় আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।

৭৮ সালের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন আবদুল মালেক উকিল। আর সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক।

সঠিক নেতৃত্বের কারণে দলের মধ্যে সমস্যা দেখা দিলে নির্বাসনে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা ও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার আগেই ’৮১ সালের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্ভাচিত করা হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকেন আবদুর রাজ্জাক।

তারপর ১৯৮৩ সালে আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে বাকশাল গঠন করে। এসময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালের কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্ভাচিত হন।

’৯২ ও ’৯৭ সালের সম্মেলনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান । ২০০০ সালের বিশেষ কাউন্সিলে আগের কমিটি বহাল থাকে। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলে শেখ হাসিনা এবং প্রয়াত আবদুল জলিল দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই, ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের দু’টি কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি পদে বহাল থাকেন। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা বহাল থাকেন। দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বর্তমান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ বছরের জন্যে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে মাশরাফিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারপর বাকি ফাঁকা পদগুলোতে নাম আসে ১ জানুয়ারি ২০২৩ অনুষ্ঠিত গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা মাধ্যমে।

লেখক : সুপন রায়

সাংবাদিক ও কলামিষ্ট