১৫০ টাকার কাঁচামরিচ একলাফে ৩২০ টাকা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১৫০ টাকা কেজিতে সেটি একলাফে বেড়ে ৩২০ টাকায় উঠেছে। এতে করে ক্রেতা পড়েছে বিপাকে।
গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়- প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ দামে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। এসময় ঊর্ধ্বগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিতর্ক করতেও দেখা যাচ্ছে।
জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচারণ সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ক্ষেত থেকে অধিক পরিমান মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ে দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কারণে জেলার বাহিরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। বর্তমানে জেলার বাহিরে কাঁচা মরিচ পাঠানোয় এর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। একই সঙ্গে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসা বন্ধ হওয়ায় অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
এদিকে, দাম বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের সবজিরও। এর মধ্যে- প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭৬৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। এছাড়াও অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়।
জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলারধাপেরহাট এলাকার কৃষক নজির উদ্দিন জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত সপ্তাহের তুলনা উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশী থাকায় পাইকারি দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৯০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। বাজারের আলমগীর হোসেন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায় বলেন, স্থানীয় কৃষি জমিতে মরিচের উৎপান কমেছে। সেই সাথে ভারত থেকে মরিচ আসাও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দাম বেড়ে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারে একজন মরিচ ক্রেতা জানান, দেশের অস্থিশীল অবস্থায় কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে শাক-সবজির দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। এ বিষয়ে অনেকেই জানান, আশা করছিলাম অন্তর্বতীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। কিন্তু তার সেই ফল এখনো পাচ্ছি না।
গাইবান্ধা জেলায় মরিচসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
গাইবান্ধা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জানান, জেলা জুড়ে হাট-বাজারে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।