হার না মানা রাব্বির এগিয়ে চলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫। এ বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন। তবে জিপিএ ফাইভ কমেছে।
রোববার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজার মিলিয়ে এ বছর পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ। যা গতবার ছিলো ৭৮.২৯ শতাংশ। ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ। চলতি বছর জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৩ জন ছাত্র। এছাড়া পাঁচ হাজার ৭৫০ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৪.৫২ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৩.৪১ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৮৪.১১। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে নয় হাজার ৫৮৯ শিক্ষার্থী। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৯৭ জন। এছাড়া মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৭ জন।
এ বছর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোয় পাসের হার ৮৭ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর জেলায় পাশের হার ৮৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
চলতি বছর পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে সীতাকুন্ডের হাজী তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাব্বি। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারায় এই শিক্ষার্থী। তাই পা দিয়ে লিখেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, রফিকুল ইসলাম রাব্বি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে সীতাকুণ্ডু উপজেলার বজলুর রহমানের ছেলে। ২০১৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুট ওভারব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে রাব্বি দুই হাত হারায়। এরপর চলে মুখ দিয়ে ও পরে পা দিয়ে লেখা আয়ত্ত করার কৌশল।
রাব্বি জানায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও মনোবল ছিলো অটুট। ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার কথা জানালেন তিনি।
রাব্বির বাবা বজলুর রহমান বলেন, দুই হাত হারালেও দমে থাকেনি রাব্বি। নিজের মসনোবল নিয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। পরিশ্রমের ফলে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও রাব্বি ভালো ফল করেছে। সে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে।
সীতাকুণ্ডের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, দুই হাত হারিয়েও পিছিয়ে থাকেনি রাব্বি। বরং সে তার চলার পথকে আরও গতিশীল করে তুলেছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে মুখ দিয়ে লিখে পরীক্ষায় সাফল্য পেতে দেখেছি রাব্বিকে।