ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বললেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

হাত ধোয়ার চর্চা বাড়াতে হবে

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, হাত ধোয়ার চর্চা বাড়াতে প্রচারণায় জোর দিতে হবে। শৈশব থেকে একটা শিশুর পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে উঠে তার জন্য পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব(রু. দা) মো. নজরুল ইসলাম। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দীপিকা শর্মা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ রাজেশ নারওয়াল৷

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশব্যাপী সকল স্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একইভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশেও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

বক্তারা বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা নিশ্চিতকরণে এবং নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় টেকসই হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব অপরিসীম। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৬.২ এর মূল উপজীব্য ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিত করা। এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থা-সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ইতোমধ্যে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। যার ফলে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে হাতধোয়া বিষয়ে সচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যানিটেশনবিষয়ক এমডিজি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বললেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

হাত ধোয়ার চর্চা বাড়াতে হবে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, হাত ধোয়ার চর্চা বাড়াতে প্রচারণায় জোর দিতে হবে। শৈশব থেকে একটা শিশুর পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে উঠে তার জন্য পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব(রু. দা) মো. নজরুল ইসলাম। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দীপিকা শর্মা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ রাজেশ নারওয়াল৷

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশব্যাপী সকল স্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একইভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশেও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

বক্তারা বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা নিশ্চিতকরণে এবং নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় টেকসই হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব অপরিসীম। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৬.২ এর মূল উপজীব্য ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিত করা। এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থা-সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ইতোমধ্যে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। যার ফলে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে হাতধোয়া বিষয়ে সচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যানিটেশনবিষয়ক এমডিজি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান।