দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তামিম খুন
হত্যায় অংশ নেয় ওয়ার্ড ও থানা বিএনপির নেতারা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর রামপুরায় ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ওয়ার্ড ও থানা বিএনপির নেতারা। পুলিশ বলছে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে জমির মালিক সুলতান আহমেদের ছেলে ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়।
ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিক সুলতান আহমেদ প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ (প্রা.) লিমিটেড নামে একটি আবাসন নির্মাণ কোম্পানির সাথে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিকদের ফ্ল্যাটের অংশ বুঝিয়ে দেয়া নিয়ে জমির মালিকদের ও কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
প্রাথমিক তদন্তে আবাসন প্রতিষ্ঠান প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কর্ণধার ও বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলম রবি এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মামুনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাতিরঝিল থানার ওসি সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তামিম হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় ৩৬ নং ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ওমর ফারুক ও আহবায়ক গাজী জাকির হোসেন, সাবেক সেচ্ছাসেবক নেতা বর্তমানে ৩৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলী হোসেন শাওন, হাতিরঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশিদ ওরফে কালা মামুন। তবে এদের কাউকেই এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হাতিরঝিল থানা পুলিশ জানায়, তামিম হত্যার ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলো- মো. আবদুল লতিফ, মো. কুরবান আলী, মাহিন, মোজাম্মেল হক কবির, বাঁধন ও মো. রাসেল।
তামিমের পরিবার জানায়, হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মামুন একজন আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হলেও অত্যন্ত অসৎ, উগ্র, পরধন লোভী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী। রাজধানীতে তার নামে বেনামে বেশকিছু অবৈধ ফ্ল্যাট রয়েছে।
মামুন সন্ত্রাসীদের দিয়ে ফ্লাট ও জমি মালিকদের জিম্মি করে জোরপূর্বক ফ্লাট দখল করে। এর আগেও মামুন ডিবি হারুনের শ্বশুর সোলায়মানের সহযোগিতায় ফ্ল্যাট দখলের বাণিজ্য চালিয়েছে। হারুনের সাথে মামুনের সখ্যতা থাকায় থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।
তামিমের বাবা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, ঘটনার তিনদিন পার হলেও পুলিশ এখনও মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশের অবহেলাই এর জন্য দায়ী।