ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখলো বাথরুমে, স্বামী-সন্তান পলাতক

মাসুদ রানা,পাবনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার সাঁথিয়ায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ জুন) উপজেলার কাশিনাথপুর শগুইনা গ্রামে রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে নিহত রিক্তার স্বামী ও ছেলে।

নিহত রিক্তা খাতুন উপজেলার শগুইনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামানিকের স্ত্রী। তিনি আমিনপুর থানার নয়াবাড়ি গ্রামের মোবুদ্ধি শিকদারের মেয়ে।

জানা গেছে, রিক্তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাঅন করতো তার স্বামী জাহাঙ্গীর এবং মাদকাসক্ত ছেলে দুরন্ত। মাদকের টাকার জন্যই তাকে নির্যাতন করা হতো। মারধরের শিকার হয়ে মেয়েটি অনেকবার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে স্বামী গিয়ে আবার নিয়ে আসতো। রোববার (২৩ জুন) দুপুরের দিকে প্রতিবেশি একজন বাথরুমে অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পেরে গিয়ে দেখেন রিক্তার মরদেহ ঝুলছে। তখন তিনি আত্মীয় স্বজনকে খবর দেন।

নিহত রিক্তা খাতুনের বড় বোনের মেয়ে আনোয়ারা খাতুন দুলির অভিযোগ, রিক্তার ছেলে মাদকাসক্ত ছিলো। মাদকের জন্য টাকা চাইত। না দিলে বাবা ও ছেলে মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করত। ফোনে একাধিকবার রিক্তা জানিয়েছিলেন, বাপ-ছেলে মিলে তাকে মেরে ফেলতে পারে।

নিহতের বাবা মোবুদ্ধি শিকদার বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের স্বামী ও ছেলেসহ সবাই নেশাগ্রস্ত। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখলো বাথরুমে, স্বামী-সন্তান পলাতক

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

পাবনার সাঁথিয়ায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ জুন) উপজেলার কাশিনাথপুর শগুইনা গ্রামে রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে নিহত রিক্তার স্বামী ও ছেলে।

নিহত রিক্তা খাতুন উপজেলার শগুইনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামানিকের স্ত্রী। তিনি আমিনপুর থানার নয়াবাড়ি গ্রামের মোবুদ্ধি শিকদারের মেয়ে।

জানা গেছে, রিক্তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাঅন করতো তার স্বামী জাহাঙ্গীর এবং মাদকাসক্ত ছেলে দুরন্ত। মাদকের টাকার জন্যই তাকে নির্যাতন করা হতো। মারধরের শিকার হয়ে মেয়েটি অনেকবার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে স্বামী গিয়ে আবার নিয়ে আসতো। রোববার (২৩ জুন) দুপুরের দিকে প্রতিবেশি একজন বাথরুমে অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পেরে গিয়ে দেখেন রিক্তার মরদেহ ঝুলছে। তখন তিনি আত্মীয় স্বজনকে খবর দেন।

নিহত রিক্তা খাতুনের বড় বোনের মেয়ে আনোয়ারা খাতুন দুলির অভিযোগ, রিক্তার ছেলে মাদকাসক্ত ছিলো। মাদকের জন্য টাকা চাইত। না দিলে বাবা ও ছেলে মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করত। ফোনে একাধিকবার রিক্তা জানিয়েছিলেন, বাপ-ছেলে মিলে তাকে মেরে ফেলতে পারে।

নিহতের বাবা মোবুদ্ধি শিকদার বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের স্বামী ও ছেলেসহ সবাই নেশাগ্রস্ত। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।