ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গেলো নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে বসতবাড়ীর সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের প্রতিবেশীর শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সবিতা রাণী দে (৫৩) নামে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত সোমবার সকালে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত সবিতা রাণী দে ভাটপাড়া গ্রামের মিলন কুমার দের স্ত্রী। মিলন পেশায় চা বিক্রেতা। উপজেলার ভাটপাড়া বাজারে তার একটি চা এবং সিঙ্গাড়া ও পুরি বিক্রির দোকান আছে।

মিলন কুমার দের ভাগ্নে তাপস কুমার দে জানান, মামী সবিতা রাণী দে এবং মামা মিলন কুমার দে’র দুই মেয়ে। গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা দুজনে বাড়িতে সকালের নাস্তা খান। দুপুরের খাবার নিয়ে মামা দোকানে চলে যাওয়ার পর সকাল নয়টার দিকে মামী ঘরে তালা দিয়ে একটি ঝুড়ি নিয়ে গরুর খাদ্য বাঁশের পাতা সংগ্রহ করতে পাশের বাঁশবাগানে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। দুপুরে কয়েকবার ফোন করে মামীকে না পেয়ে মামা পাশের বাড়ির এক গৃহবধূকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বাড়িতে যেয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ওই নারী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তার খোঁজা শুরু করে। এলাকার লোকজন বাঁশবাগানে যেয়ে তার মাথার খোঁপা এবং কয়েকটি বাঁশের পাতা পড়ে থাকতে দেখতে পান। গভীর রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালেও খোঁজখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাঁশবাগানের এক পাশে নিয়ামুল ইসলামের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা কিছুটা উঁচু দেখতে পাওয়া যায়। এলাকার কয়েকজন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা উঁচু করতেই একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাংক থেকে মামীর মরদেহ উদ্ধার করে।

অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ভাটপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূ সবিতা রাণী দে’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গেলো নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে বসতবাড়ীর সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের প্রতিবেশীর শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সবিতা রাণী দে (৫৩) নামে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত সোমবার সকালে বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত সবিতা রাণী দে ভাটপাড়া গ্রামের মিলন কুমার দের স্ত্রী। মিলন পেশায় চা বিক্রেতা। উপজেলার ভাটপাড়া বাজারে তার একটি চা এবং সিঙ্গাড়া ও পুরি বিক্রির দোকান আছে।

মিলন কুমার দের ভাগ্নে তাপস কুমার দে জানান, মামী সবিতা রাণী দে এবং মামা মিলন কুমার দে’র দুই মেয়ে। গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা দুজনে বাড়িতে সকালের নাস্তা খান। দুপুরের খাবার নিয়ে মামা দোকানে চলে যাওয়ার পর সকাল নয়টার দিকে মামী ঘরে তালা দিয়ে একটি ঝুড়ি নিয়ে গরুর খাদ্য বাঁশের পাতা সংগ্রহ করতে পাশের বাঁশবাগানে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। দুপুরে কয়েকবার ফোন করে মামীকে না পেয়ে মামা পাশের বাড়ির এক গৃহবধূকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বাড়িতে যেয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ওই নারী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তার খোঁজা শুরু করে। এলাকার লোকজন বাঁশবাগানে যেয়ে তার মাথার খোঁপা এবং কয়েকটি বাঁশের পাতা পড়ে থাকতে দেখতে পান। গভীর রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালেও খোঁজখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাঁশবাগানের এক পাশে নিয়ামুল ইসলামের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা কিছুটা উঁচু দেখতে পাওয়া যায়। এলাকার কয়েকজন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা উঁচু করতেই একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাংক থেকে মামীর মরদেহ উদ্ধার করে।

অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ভাটপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূ সবিতা রাণী দে’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।