ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাড়ে ১৫ বছরে ইস্যু ৭৩২ আগ্নেয়াস্ত্র, জমা পড়েনি ১৩১টি

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় ৭৩২টি আগ্নেয়াস্ত্র ইস্যু করা হয়েছিলো। সেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে গত ৩ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো সরকার। চট্টগ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৬০১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়লেও এখনো ১৩১টি জমা পড়েনি। যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, কোতোয়ালীতে ৫৩টি, বাকলিয়ায় ৫টি, ডবলমুরিংয়ে ১৭টি, সদরঘাটে ২১টি, চকবাজারে ৩১টি, চান্দগাঁওয়ে ২৫টি, পাঁচলাইশে ৯৫টি, খুলশীতে ৫০টি, বায়েজিদ বোস্তামিতে ৮টি, হালিশহরে ১৭টি, পাহাড়তলীতে ৯টি, বন্দরে ১২টি, ইপিজেডে ৭টি, আকবরশাহতে ১টি, পতেঙ্গায় ৩টি এবং কর্ণফুলী থানায় ৭টি অস্ত্র জমা পড়েছে। অস্ত্রের পাশাপাশি এসব থানায় জমা পড়েছে ১৯ হাজার ৬২৬ রাউন্ড গুলি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানিয়েছেন, সিএমপিতে অনেক অস্ত্রই জমা পড়েছে। যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের তালিকা করে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, খুলশী থানায় বিভিন্ন জেলার ২০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রয়েছে। নোয়াখালী জেলার লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র জমা হয়েছে ডবলমুরিং থানায়। পাহাড়তলী থানায় লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানায় এবং আরেকটি সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় জমা রয়েছে।

এছাড়া আকবরশাহ থানার লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র সীতাকুণ্ড থানায় এবং সীতাকুণ্ড থানার লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র আকবরশাহ থানায় জমা হয়েছে। কর্ণফুলী থানার দুইটি অস্ত্র ডবলমুরিং থানায় ও একটি অস্ত্র খুলশী থানায় জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, সাড়ে ১৫ বছরে সিএমপির ১৬ থানায় ৪৫৪টি এবং জেলার ১৫ থানায় ২৭৮টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এরমধ্যে সিএমপিতে বৈধ অস্ত্র জমা পড়েছে ৩৬১টি আর জমা পড়েনি ৯৩টি। অন্যদিকে জেলায় জমা পড়েছে ২৪০টি অস্ত্র আর জমা পড়েনি ৩৮টি অস্ত্র।

এদিকে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করার ঘোষণা আসার পর গত মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে এসব অস্ত্রকেও অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাড়ে ১৫ বছরে ইস্যু ৭৩২ আগ্নেয়াস্ত্র, জমা পড়েনি ১৩১টি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় ৭৩২টি আগ্নেয়াস্ত্র ইস্যু করা হয়েছিলো। সেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে গত ৩ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো সরকার। চট্টগ্রামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৬০১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়লেও এখনো ১৩১টি জমা পড়েনি। যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, কোতোয়ালীতে ৫৩টি, বাকলিয়ায় ৫টি, ডবলমুরিংয়ে ১৭টি, সদরঘাটে ২১টি, চকবাজারে ৩১টি, চান্দগাঁওয়ে ২৫টি, পাঁচলাইশে ৯৫টি, খুলশীতে ৫০টি, বায়েজিদ বোস্তামিতে ৮টি, হালিশহরে ১৭টি, পাহাড়তলীতে ৯টি, বন্দরে ১২টি, ইপিজেডে ৭টি, আকবরশাহতে ১টি, পতেঙ্গায় ৩টি এবং কর্ণফুলী থানায় ৭টি অস্ত্র জমা পড়েছে। অস্ত্রের পাশাপাশি এসব থানায় জমা পড়েছে ১৯ হাজার ৬২৬ রাউন্ড গুলি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানিয়েছেন, সিএমপিতে অনেক অস্ত্রই জমা পড়েছে। যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের তালিকা করে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, খুলশী থানায় বিভিন্ন জেলার ২০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রয়েছে। নোয়াখালী জেলার লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র জমা হয়েছে ডবলমুরিং থানায়। পাহাড়তলী থানায় লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানায় এবং আরেকটি সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় জমা রয়েছে।

এছাড়া আকবরশাহ থানার লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র সীতাকুণ্ড থানায় এবং সীতাকুণ্ড থানার লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র আকবরশাহ থানায় জমা হয়েছে। কর্ণফুলী থানার দুইটি অস্ত্র ডবলমুরিং থানায় ও একটি অস্ত্র খুলশী থানায় জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, সাড়ে ১৫ বছরে সিএমপির ১৬ থানায় ৪৫৪টি এবং জেলার ১৫ থানায় ২৭৮টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এরমধ্যে সিএমপিতে বৈধ অস্ত্র জমা পড়েছে ৩৬১টি আর জমা পড়েনি ৯৩টি। অন্যদিকে জেলায় জমা পড়েছে ২৪০টি অস্ত্র আর জমা পড়েনি ৩৮টি অস্ত্র।

এদিকে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করার ঘোষণা আসার পর গত মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে এসব অস্ত্রকেও অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় ।