ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দু’দক)। সোমবার (১৯ আগস্ট) কমিশনের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। দু’দকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দিয়ে অনুসন্ধানের আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।

দু’দকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন তার বিধি অনুযায়ী দেখবে। এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ।

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় সম্পদ বেড়েছে এমন রাজনৈতিক নেতাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিলেও নানামুখী চাপে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা সেটি নিয়ে আর এগোয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে যেসব সাবেক মন্ত্রীর নাম রয়েছে তারা হলো-সাধন চন্দ্র মজুমদার, টিপু মুনশি, নসরুল হামিদ বিপু, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক,ডা. এনামুর রহমান, জাহিদ মালেক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, জাহিদ আহসান রাসেল, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাহজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও হাসানুল হক ইনু, মহিবুর রহমান।

সাবেক এমপিদের মধ্যে তালিকায় রয়েছে- শরিফুল ইসলাম জিন্না (বগুড়া-২), বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-২০), সরওয়ার জাহান (কুষ্টিয়া-১),শহিদুল ইসলাম বকুল (নাটোর-১), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), মামুনুর রশিদ কিরন (নোয়াখালী ৩), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১),মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ-৩), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩),কাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-১১), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), আ.স.ম. ফিরোজ (পটুয়াখালী-২), নূরে আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), জিয়াউল রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২)।

পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়-গত ১৫ বছরে এসব মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারো আয় বেড়েছে। আবার কারো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ, কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লাখ গুণ পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দু’দক)। সোমবার (১৯ আগস্ট) কমিশনের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। দু’দকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দিয়ে অনুসন্ধানের আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।

দু’দকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন তার বিধি অনুযায়ী দেখবে। এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ।

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় সম্পদ বেড়েছে এমন রাজনৈতিক নেতাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিলেও নানামুখী চাপে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা সেটি নিয়ে আর এগোয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে যেসব সাবেক মন্ত্রীর নাম রয়েছে তারা হলো-সাধন চন্দ্র মজুমদার, টিপু মুনশি, নসরুল হামিদ বিপু, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক,ডা. এনামুর রহমান, জাহিদ মালেক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, জাহিদ আহসান রাসেল, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাহজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও হাসানুল হক ইনু, মহিবুর রহমান।

সাবেক এমপিদের মধ্যে তালিকায় রয়েছে- শরিফুল ইসলাম জিন্না (বগুড়া-২), বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-২০), সরওয়ার জাহান (কুষ্টিয়া-১),শহিদুল ইসলাম বকুল (নাটোর-১), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), মামুনুর রশিদ কিরন (নোয়াখালী ৩), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১),মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ-৩), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩),কাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-১১), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), আ.স.ম. ফিরোজ (পটুয়াখালী-২), নূরে আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), জিয়াউল রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২)।

পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়-গত ১৫ বছরে এসব মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারো আয় বেড়েছে। আবার কারো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ, কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লাখ গুণ পর্যন্ত।