শেরপুরে বন্যা : ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমে আসায় শেরপুররে কোথাও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি আবার কোথাও অবনতি ঘটেছে। পানি নেমে যাওয়ায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী এবং শ্রীবরদী উপজেলার উজানে ১৫ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।
আবার ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় নালিতাবাড়ীর কলসপাড়, যোগানিয়া, মরিচপুরাণ ইউনিয়ন, নকলা , নকলার উরফা, পৌরসভা ও গণপদ্দি ইউনিয়ন, ঝিনাইগাতীর হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার গাজীরখামার, পাকুড়িয়া, ধলা ও কামারিয়া ইউনিয়নসহ ১৩ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যেতে দেখা গেছে।
বন্যার পানি নামার সাথে সাথে বাড়িঘর ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হওয়ার ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে ওঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষ রান্না করা খাবার ও ত্রাণসামগ্রী পেলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যার্তরা। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়িঘর দ্রুত মেরামতের জন্য পুণর্বাসন সহায়তা কামনা করেছেন।
এদিকে, রোববার পাহাড়ি ঢলের পানিতে নকলা উপজেলায় ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলো-উরফা ইউনিয়নের কুড়েকান্দা গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন, গনপদ্দি ইউনিয়নের গজারিয়া কিংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক এবং নকলা পৌরসভার জালালপুর গ্রামের অধিবাসী রাইস মিল শ্রমিক উজ্জ্বল মিয়া। এনিয়ে পাহাড়ি ঢলে গত ৪ দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই নারীসহ ৮ জনে। পাহাড়ি ঢলে এখনও প্রায় শতাধিক গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের ৫টি উপজেলায় ৪৬ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমির রোপা আমন আবাদ, ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির সবজি আবাদ, বস্তায় চাষ করা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৪ বস্তা আদা সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে জেলায় অন্তত ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৩০ জন কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বন্যার কারণে পানি ওঠায় জেলায় ২৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আশার কথা জানিয়ে বলেন, পাহাড়ি খরস্রোতা চেল্লাখালি ও ভোগাই নদী এখন বিপদসীমার বেশ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বৃষ্টি কিংবা উজানে ভারী বর্ষণ না হলে নদ-নদীগুলোর পানি আও কমবে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।