শরণখোলায় কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে হামল-ভাঙচুর
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাটের শরণখোলার রাজৈর গ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এক কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগপন্থী প্রতিপক্ষ রতন হাওলাদার ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ একদল সন্ত্রাসী এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এঘটনার পর হামলাকারীরা উল্টো ক্ষতিগ্রস্তদের নামে মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কলেজ শিক্ষক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের রতন হাওলাদারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমাদের মামলা চলছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমাদের দখলীয় ওই জমিতে বসত ঘর, গোয়াল ঘর ও নানা জাতের গাছপালা রয়েছে। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ ভঙ্গ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে রতন হাওলাদার, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ একটি সন্ত্রাসী দল দা, কুড়াল, লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা জোরপূর্বক জমি দখলে নিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া বাড়ির অসংখ্য গাছপালা কেটে ফেলে তারা।
কলেজ শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা মোশারেফ হাওলাদার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা দুই ভাই চাকরির কারণে বাইরে থাকি। বাড়িতে বাবা- মা দুজন থাকেন। সেই সুযোগে তারা জোরপূর্বক জমি দখল করার অপচেষ্টা চালায়। এঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কলেজ শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে আরো বলেন, প্রতিপক্ষের রতন হাওলাদার বাগেরহাট আদালতের একজন মোহরার। সে কারণে তিনি আমাদের নামে আদালতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। হামলার পর তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে আরো মিথ্যা মামলাসহ আবারও নানা ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু ভূয়া অনলাইনে আমাদের নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে, যা মানহানিকর।
ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বলেন, সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হাওলাদারের সঙ্গে রতন হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এনিয়ে একাধিকবার আমরা সালিশ বৈঠক করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। তাতে মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ সঠিক আছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ তা মানতে নারাজ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের সাইফুল ইসলাম জুয়েল তাদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন।