ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শপিং করে দেয়ার কথা বলে হোটেলে নিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:১৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার শাজাহানপুরে আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করেছেন বাবা। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।আটক আজিজুলের বাড়ি বগুড়ার ধুনটে। স্ত্রী-সন্তানদের শপিং করে দেয়ার কথা বলে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে ওঠেন আজিজুল।

পুলিশ জানিয়েছেয়, দাম্পত্য কলহের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করেন আজিজুল। দেড় বছর বয়সী শিশুর বিচ্ছিন্ন মাথা হোটেলের পাশে করতোয়া নদীতে ফেলে দেন। রোববার (২ জুন) সকালে পুলিশ আজিজুলকে আটক করে।

শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, শনিবার (১ জুন) রাতে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমাকে নিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া করেন।

তিনি আরও বলেন, রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দেবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে যান। এ সময় তার স্ত্রী-সন্তানের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বাসায় চলে গেছে। আমি রুম বুঝে নেয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।

নিহত আশামনির বাবা আসাদুল বলেন, আজিজুল হকের সাথে তিন বছর আগে আশামনির বিয়ে হয়। নাতি হওয়ার আগে থেকেই মেয়ে আমার বাড়িতে থাকে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার (২ জুন) তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিলেঅ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জামাই আজিজুল নারুলীতে আমার বাড়ি আসে। দু’দিন থাকার পর শনিবার (১ জুন) বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে শপিং করার জন্য বের হয়। রাতে আজিজুল হক ফোন করে জানায়, আমার মেয়ে ও নাতিকে রিকশায় তুলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার (২ জুন) সকাল থেকে মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করা হয়। তারপর সদর থানায় জিডি করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মেয়ের নাতির মরদেহ উদ্ধারের খবর পাই।

শাহজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (১ জুন) রাতের কোনো একসময় মা ও তার বাচ্চাটিকে হত্যা করা হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সরাফত ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, শনিবার (১ জুন) রাতে যে কোনো সময় আজিজুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বস্তাবন্দি করে কক্ষের বাথরুমে রাখে। এছাড়া ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সাথে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শপিং করে দেয়ার কথা বলে হোটেলে নিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:১৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

বগুড়ার শাজাহানপুরে আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করেছেন বাবা। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।আটক আজিজুলের বাড়ি বগুড়ার ধুনটে। স্ত্রী-সন্তানদের শপিং করে দেয়ার কথা বলে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে ওঠেন আজিজুল।

পুলিশ জানিয়েছেয়, দাম্পত্য কলহের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করেন আজিজুল। দেড় বছর বয়সী শিশুর বিচ্ছিন্ন মাথা হোটেলের পাশে করতোয়া নদীতে ফেলে দেন। রোববার (২ জুন) সকালে পুলিশ আজিজুলকে আটক করে।

শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, শনিবার (১ জুন) রাতে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমাকে নিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া করেন।

তিনি আরও বলেন, রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দেবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে যান। এ সময় তার স্ত্রী-সন্তানের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বাসায় চলে গেছে। আমি রুম বুঝে নেয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।

নিহত আশামনির বাবা আসাদুল বলেন, আজিজুল হকের সাথে তিন বছর আগে আশামনির বিয়ে হয়। নাতি হওয়ার আগে থেকেই মেয়ে আমার বাড়িতে থাকে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার (২ জুন) তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিলেঅ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জামাই আজিজুল নারুলীতে আমার বাড়ি আসে। দু’দিন থাকার পর শনিবার (১ জুন) বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে শপিং করার জন্য বের হয়। রাতে আজিজুল হক ফোন করে জানায়, আমার মেয়ে ও নাতিকে রিকশায় তুলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার (২ জুন) সকাল থেকে মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করা হয়। তারপর সদর থানায় জিডি করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মেয়ের নাতির মরদেহ উদ্ধারের খবর পাই।

শাহজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (১ জুন) রাতের কোনো একসময় মা ও তার বাচ্চাটিকে হত্যা করা হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সরাফত ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, শনিবার (১ জুন) রাতে যে কোনো সময় আজিজুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বস্তাবন্দি করে কক্ষের বাথরুমে রাখে। এছাড়া ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সাথে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে।