ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লঞ্চের কেবিনে নারী-পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এম ভি ময়ুর-৭ লঞ্চের কেবিন থেকে নারী-পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ঢাকা সদরঘাটে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকার সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. আবুল কালাম এবং চাঁদপুর নৌ থানার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান।

রাজধানীর সদরঘাট নৌ-থানা জানায়, ময়ূর-৭ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার সময় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে আসে। শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোরে ময়ুর এই লঞ্চটি সদরঘাট লালকুঠি ঘাটে অবস্থান নেয়। এ সময় যাত্রীরা নেমে যায়। সকালে লঞ্চটির তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কেবিন দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় স্টাফদের। তারা নৌ-থানাকে অবগত করে। নৌ-পুলিশ কেবিনের জানালা ভেঙে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দু’জনের মরদেহ দেখতে পায়। পরে কেবিনে প্রবেশ করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নৌ-পুলিশ আর জানায়, মারা যাওয়া যুবকের নাম আনোয়ার হোসাইন (২৮)। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ঘোটাল গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির অলি উল্লাহর ছেলে। মারা যাওয়া নারীর নাম রোজিনা বেগম (৩৫)। তিনি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুরের যোগতাহের মাঠ গ্রামের ইসমাইল শেখের মেয়ে। তারা উভয় বিবাহিত। তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এম ভি ময়ুর লঞ্চের চাঁদপুরের ঘাট সুপারভাইজার আজগর হোসেন জানান, বৃহষ্পতিবার (১ আগষ্ট) রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে এম ভি ময়ুর-৭ লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাটে ভিড়ার পর সব যাত্রী নামলেও একটি কেবিনে দরজা বন্ধ ছিল এবং ভিতর থেকে কেউ সাড়া দিচ্ছিল না। পরে লঞ্চের লোকজন সদরঘাট থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে তারা এসে কেবিনের দরজা ভেঙ্গে একজন পুরুষ ও মহিলার মরদেহ উদ্ধার করে।

ঢাকার সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. আবুল কালাম বলেন, শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে লঞ্চের স্টাফরা কেবিনে থাকা দুই জনকে অনেক বার ডেকে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লঞ্চের কেবিনে নারী-পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এম ভি ময়ুর-৭ লঞ্চের কেবিন থেকে নারী-পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ঢাকা সদরঘাটে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকার সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. আবুল কালাম এবং চাঁদপুর নৌ থানার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান।

রাজধানীর সদরঘাট নৌ-থানা জানায়, ময়ূর-৭ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার সময় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে আসে। শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোরে ময়ুর এই লঞ্চটি সদরঘাট লালকুঠি ঘাটে অবস্থান নেয়। এ সময় যাত্রীরা নেমে যায়। সকালে লঞ্চটির তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কেবিন দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় স্টাফদের। তারা নৌ-থানাকে অবগত করে। নৌ-পুলিশ কেবিনের জানালা ভেঙে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দু’জনের মরদেহ দেখতে পায়। পরে কেবিনে প্রবেশ করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নৌ-পুলিশ আর জানায়, মারা যাওয়া যুবকের নাম আনোয়ার হোসাইন (২৮)। তিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ঘোটাল গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির অলি উল্লাহর ছেলে। মারা যাওয়া নারীর নাম রোজিনা বেগম (৩৫)। তিনি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুরের যোগতাহের মাঠ গ্রামের ইসমাইল শেখের মেয়ে। তারা উভয় বিবাহিত। তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এম ভি ময়ুর লঞ্চের চাঁদপুরের ঘাট সুপারভাইজার আজগর হোসেন জানান, বৃহষ্পতিবার (১ আগষ্ট) রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে এম ভি ময়ুর-৭ লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাটে ভিড়ার পর সব যাত্রী নামলেও একটি কেবিনে দরজা বন্ধ ছিল এবং ভিতর থেকে কেউ সাড়া দিচ্ছিল না। পরে লঞ্চের লোকজন সদরঘাট থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে তারা এসে কেবিনের দরজা ভেঙ্গে একজন পুরুষ ও মহিলার মরদেহ উদ্ধার করে।

ঢাকার সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. আবুল কালাম বলেন, শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে লঞ্চের স্টাফরা কেবিনে থাকা দুই জনকে অনেক বার ডেকে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে।