ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা

রেলের ক্ষতি ২২ কোটি টাকা, ফেরত দিতে হবে ১৬ কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। আর এই সহিংসতা থেকে বাদ যায়নি রেলবিভাগও। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথ। এতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ক্ষতির পরিমাণ ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ তথ্য রেলওয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

সূত্রমতে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ৪টি ট্রেনের ৪০টি বগি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়। ট্রেন চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের যাত্রীরা।

জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করে। এরপর জনগণের নিরাপত্তায় কারফিউ জারি করে সরকার। এর ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮ জুলাই থেকে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ রাখে। এরপর থেকে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, বিজিবি নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) ৪টি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকা, সকাল সাড়ে ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারী, সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন সিলেট, এবং ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন হাটহাজারী স্টেশনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রতিটি ট্রেনে বিজিবি চট্টগ্রাম থেকে এক প্লাটুন করে সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।

সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪টি ট্রেনের ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি, চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের দু’টি বগি ভাঙচুর করা হয়। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৪টি বগি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।

রেলওয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল না করায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। এর পরিমাণ ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি করা টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা

রেলের ক্ষতি ২২ কোটি টাকা, ফেরত দিতে হবে ১৬ কোটি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। আর এই সহিংসতা থেকে বাদ যায়নি রেলবিভাগও। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলপথ। এতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ক্ষতির পরিমাণ ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ তথ্য রেলওয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

সূত্রমতে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ৪টি ট্রেনের ৪০টি বগি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়। ট্রেন চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের যাত্রীরা।

জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করে। এরপর জনগণের নিরাপত্তায় কারফিউ জারি করে সরকার। এর ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮ জুলাই থেকে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ রাখে। এরপর থেকে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, বিজিবি নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) ৪টি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকা, সকাল সাড়ে ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারী, সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন সিলেট, এবং ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন হাটহাজারী স্টেশনের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রতিটি ট্রেনে বিজিবি চট্টগ্রাম থেকে এক প্লাটুন করে সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।

সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪টি ট্রেনের ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি, চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের দু’টি বগি ভাঙচুর করা হয়। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৪টি বগি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।

রেলওয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল না করায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। এর পরিমাণ ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি করা টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব নয়।