রেমাল আতঙ্ক, ‘বাঁধ’ নিয়ে শঙ্কা উপকূলে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানতে পারে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠায় খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট উপকূলের মানুষ।
‘ক্লাইমেট মুভমেন্ট বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক শুভ্র শচীন বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় নদীতে জোয়ারের পানি বাড়লে উপকূলের বাঁধে ভাঙন তৈরি হয়, বাঁধ ভাঙে। আর প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, ফসল। একেকটি দুর্যোগ বদলে দেয় উপকূলীয় মানুষের জীবন চিত্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, উপকূলের তিন জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটে দুই হাজার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৫১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও সংস্থার কর্মকর্তাদের দাবি, উপকূলীয় ওই তিন জেলার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছে। আরও কিছু এলাকা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সাইক্লোন শেল্টারে তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। সেখানে ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। সতর্ক থাকার জন্য ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এর পাশাপাশি ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তত রাখা হয়েছে।
খুলনার কয়রা ইউএনও মো. তারিক উজ জামান জানান, ‘রেমাল’র খবরে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, দুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য, পানীয়ের ব্যবস্থাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকটিম গঠন করা হয়েছে।
পাউবো খুলনার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মশিউল আবেদীন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।