ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে নেকমরদ পশুর হাটে মেলার নামে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায় 

রাণীশংকৈল,( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সব চেয়ে বড় পশুর হাট নেকমরদ। ইউএনওর নির্দেশে মেলার নামে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে নেকমরদ ওরস মেলা নামে একটি মেলার আয়োজন করেছে স্থানীয়রা সে মেলার সভাপতি ইউএনও নিজেই।তিনি সে মেলায় সার্কাস যাত্রাপালা সহ বিভিন্ন প্রকার বিনোদনের ব্যবস্থা করেছেন পাশাপাশি পশুর হাটে ২৩০ টাকার পরিবর্তে টোল আদায় করছেন ৬০০ টাকা এতে গরু ব্যবসায়ী সহ সাধারণ ক্রেতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে অনেকেই অভিযোগ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে হাটে গরু প্রতি ২৩০ টাকা ও ছাগল প্রতি ৯০ টাকা টোল নেওয়ার সরকারি নিয়ম থাকলেও হাট ইজারাদার গরু প্রতি ৬০০ টাকা ও ছাগল প্রতি ২০০ টাকা টোল আদায় করছে ।

হাটে যশোর ও বগুড়া থেকে আসা দুুজন গরু ব্যবসায়ী সোহেল ও আঃ মজিদ অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নিয়ম ভঙ্গকরে হাট কমিটির লোকজন প্রশাসনের দাপট দেখিয়ে এভাবে আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আজকে আমারা দুু’জনে ১৩ টি গরু ক্রয় করেছি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি গরুর লেখায় ২৩০ টাকা কিন্তু আমাদের কাছে নিয়েছে ৬০০ টা এতে ৩৭০ টাকা করে ৪৮১০ টাকা বেশি নেওয়ায় আমারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি । এভাবে ক্ষতি মেনে নেয়া যায়না, তাই প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। গরুর রশিদ লেখক রাউতনগর গ্রামের নজরুলের কাছে,অতিরিক্ত টোল আদায় ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নেকমরদ ওরশ মেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। হাটে আসা অনেকেই বলেন,কোনভাবেই সরকারি নিয়ম পালন করছেন না হাট ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্টরা। এ দিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, মেলার নামে এখানে এসব চলছে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাটে আসা বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। 

এ ব্যাপারে কাতিহার হাট ইজারাদার সারোয়ার নূর লিয়ন মুঠোফোনে বলেন, ইউএনও স্যার মেলা কমিটির সভাপতি নিজ ইচ্ছা মতো টোল আদায় করছে। এদিকে আমাদেরকে ২৫০ টাকার বেশি নিতে দিচ্ছে না। অথচ নেকমরদ হাটে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২৩০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা অপেক্ষা করে গরু প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা, ছাগল ২০০ টাকা। তাহলে আইন কি দুটো?একই উপজেলার দুটি নিয়ম কেন?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেলা কমিটির সভাপতি  রকিবুল হাসান জানান,আমরা মেলার ৫ টি হাটে ছাগল ২০০ টাকা ও গরু ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাণীশংকৈলে নেকমরদ পশুর হাটে মেলার নামে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায় 

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সব চেয়ে বড় পশুর হাট নেকমরদ। ইউএনওর নির্দেশে মেলার নামে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে নেকমরদ ওরস মেলা নামে একটি মেলার আয়োজন করেছে স্থানীয়রা সে মেলার সভাপতি ইউএনও নিজেই।তিনি সে মেলায় সার্কাস যাত্রাপালা সহ বিভিন্ন প্রকার বিনোদনের ব্যবস্থা করেছেন পাশাপাশি পশুর হাটে ২৩০ টাকার পরিবর্তে টোল আদায় করছেন ৬০০ টাকা এতে গরু ব্যবসায়ী সহ সাধারণ ক্রেতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে অনেকেই অভিযোগ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে হাটে গরু প্রতি ২৩০ টাকা ও ছাগল প্রতি ৯০ টাকা টোল নেওয়ার সরকারি নিয়ম থাকলেও হাট ইজারাদার গরু প্রতি ৬০০ টাকা ও ছাগল প্রতি ২০০ টাকা টোল আদায় করছে ।

হাটে যশোর ও বগুড়া থেকে আসা দুুজন গরু ব্যবসায়ী সোহেল ও আঃ মজিদ অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নিয়ম ভঙ্গকরে হাট কমিটির লোকজন প্রশাসনের দাপট দেখিয়ে এভাবে আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আজকে আমারা দুু’জনে ১৩ টি গরু ক্রয় করেছি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি গরুর লেখায় ২৩০ টাকা কিন্তু আমাদের কাছে নিয়েছে ৬০০ টা এতে ৩৭০ টাকা করে ৪৮১০ টাকা বেশি নেওয়ায় আমারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি । এভাবে ক্ষতি মেনে নেয়া যায়না, তাই প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। গরুর রশিদ লেখক রাউতনগর গ্রামের নজরুলের কাছে,অতিরিক্ত টোল আদায় ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নেকমরদ ওরশ মেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। হাটে আসা অনেকেই বলেন,কোনভাবেই সরকারি নিয়ম পালন করছেন না হাট ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্টরা। এ দিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, মেলার নামে এখানে এসব চলছে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাটে আসা বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। 

এ ব্যাপারে কাতিহার হাট ইজারাদার সারোয়ার নূর লিয়ন মুঠোফোনে বলেন, ইউএনও স্যার মেলা কমিটির সভাপতি নিজ ইচ্ছা মতো টোল আদায় করছে। এদিকে আমাদেরকে ২৫০ টাকার বেশি নিতে দিচ্ছে না। অথচ নেকমরদ হাটে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২৩০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা অপেক্ষা করে গরু প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা, ছাগল ২০০ টাকা। তাহলে আইন কি দুটো?একই উপজেলার দুটি নিয়ম কেন?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেলা কমিটির সভাপতি  রকিবুল হাসান জানান,আমরা মেলার ৫ টি হাটে ছাগল ২০০ টাকা ও গরু ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।