ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা পর্যায়ের কমিটিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সভাপতি করা হয়েছে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে৷

এছাড়া পুলিশ সুপারকে (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) করা হয়েছে সদস্য৷ পাবলিক প্রসিকিউটরকে (মহানগর এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) সদস্য করা হয়েছে৷

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে,-

১। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

২। আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।

৩। আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।

৪। আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।

৫। পাবলিক প্রসিকিউটর এর মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।

৬। জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্যকোন উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।

৭। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে৷

এদিকে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি :

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব, আইন-১ শাখাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে৷

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে –

১। জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

২। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরণের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরণের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে কমিটি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা পর্যায়ের কমিটিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সভাপতি করা হয়েছে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে৷

এছাড়া পুলিশ সুপারকে (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) করা হয়েছে সদস্য৷ পাবলিক প্রসিকিউটরকে (মহানগর এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) সদস্য করা হয়েছে৷

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে,-

১। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

২। আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে।

৩। আবেদন প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) এর নিকট মতামতের জন্য প্রেরণ করবেন।

৪। আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্র বিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করবেন।

৫। পাবলিক প্রসিকিউটর এর মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।

৬। জেলা কমিটির নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্যকোন উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য দায়ের করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের নিকট সুপারিশ করবে।

৭। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে৷

এদিকে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি :

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব, আইন-১ শাখাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে৷

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে –

১। জেলা কমিটির নিকট থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

২। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো বিধানমতে কমিশনের লিখিত আদেশ ব্যতীত প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরণের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরণের মামলার বিষয়ে করণীয় পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হবে।