যেভাবে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
সরকারি চাকরিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ‘লং মার্চে’ অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে রাজধানী যখন উত্তাল ঠিক তখন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে গেছেন শেখ হাসিনা। এসময় তার মাথে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।
জানা যায়, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে পদত্যাগের পর বিশেষ বিমানে দেশ ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুই বোন বিশেষ হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।
শেখ হাসিনাকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আগরতলা বিমানবন্দরে। হেলিকপ্টারটি ত্রিপুরার রাজধানীর উদ্দেশ্যে উড়িয়ে নিয়ে যান এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য। আগরতলা থেকে দিল্লিতে যাবেন হাসিনা।
বাংলাদেশে সেনার অধীনে অন্তর্বর্তী তদারকি সরকার গঠিত হচ্ছে। দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ পাননি।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। হাসিনা বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করার পর তার ভাষণ শুরু হয়। বাংলাদেশ সংসদের স্পিকারকে আপাতত ক্ষমতা হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে খবর। তার পরে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে বাংলাদেশে তদারকি সরকার গঠিত হবে। বছর খানেক পরে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে।
সূত্রের দাবি, শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।
হাসিনার পুত্র সাজিব ওয়াজেদ জয় আমেরিকায় থাকেন। আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ থাকেন দিল্লিতে। সে কারণেই মনে করা হচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে হাসিনার গন্তব্য হতে চলেছে দিল্লি।
গত কয়েক দিন থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিলো হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। রবিবার (৪ আগস্ট) বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছিলো। সোমবার (৫ আগস্ট)পদত্যাগ করলেন হাসিনা।
সহিংসতা রোধে রবিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়েছিল। সোমবার থেকে তিন দিন ছুটিও ঘোষণা করে সরকার। তবে সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় কারফিউ উপেক্ষা করে ভিড় বাড়তে থাকে মানুষের।