ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আদিবাসী কিশোরী

ইমরান হোসাইন, তানোর (রাজশাহী)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীর তানোরে মুসলিম প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন এক আদিবাসী কিশোরী (২০)। গত রোববার রাতে তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম গ্রামে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তানোর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সাবাই আদিবাসী যুবক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম (শালতলা আদিবাসীপাড়া) গ্রামের বাজুন মারডীর ছেলে সামুয়েল মারডী (২৫), একই গ্রামের কিলিশ মুর্মুর ছেলে রুবেল মুর্মু (২১) ও নরেশ হাঁসদার ছেলে শিবেন হাঁসদা (২২)। মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় আদিবাসী তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, সোববার তানোর থানায় ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এর পর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে চালান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বরাদ দিয়ে ওসি আরও জানান, ওই কিশোরীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমাস্তাপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। স¤প্রতি দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে চকরতিরাম গ্রামের তার খালার বাড়িতে আলু তোলার কাজ করতে আসে। এ সময় চকরতিরাম গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে রাহিমের সাথে তার পরিচয় হয়। এর সুত্র ধরে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে রোববার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী।

ওসি আরও জানান, রাত ৯টার দিকে খালার বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে যায় ওই কিশোরী। এ সময় আদিবাসী তিন যুবক সেখানে চলে আসে। তাদেরকে দেখে রাহিমকে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করার কারণে আদিবাসী তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ বেধে দেয়।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর জবানবন্দির বরাদ দিয়ে ওসি বলেন, ধর্ষণের সময় তারা ওই কিশোরীকে বার বার বলে খ্রিস্টান হয়ে মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করিস। খ্রিস্টান ছেলে ভাল লাগে না। এখন বোঝ কেমন লাগে। এখানে যতদিন থাকবি খ্রিস্টান ছেলেদের সঙ্গে থাকবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যেভাবে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আদিবাসী কিশোরী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

রাজশাহীর তানোরে মুসলিম প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন এক আদিবাসী কিশোরী (২০)। গত রোববার রাতে তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম গ্রামে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তানোর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সাবাই আদিবাসী যুবক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম (শালতলা আদিবাসীপাড়া) গ্রামের বাজুন মারডীর ছেলে সামুয়েল মারডী (২৫), একই গ্রামের কিলিশ মুর্মুর ছেলে রুবেল মুর্মু (২১) ও নরেশ হাঁসদার ছেলে শিবেন হাঁসদা (২২)। মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় আদিবাসী তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, সোববার তানোর থানায় ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এর পর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে চালান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বরাদ দিয়ে ওসি আরও জানান, ওই কিশোরীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমাস্তাপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। স¤প্রতি দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে চকরতিরাম গ্রামের তার খালার বাড়িতে আলু তোলার কাজ করতে আসে। এ সময় চকরতিরাম গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে রাহিমের সাথে তার পরিচয় হয়। এর সুত্র ধরে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে রোববার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী।

ওসি আরও জানান, রাত ৯টার দিকে খালার বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে যায় ওই কিশোরী। এ সময় আদিবাসী তিন যুবক সেখানে চলে আসে। তাদেরকে দেখে রাহিমকে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করার কারণে আদিবাসী তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ বেধে দেয়।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর জবানবন্দির বরাদ দিয়ে ওসি বলেন, ধর্ষণের সময় তারা ওই কিশোরীকে বার বার বলে খ্রিস্টান হয়ে মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করিস। খ্রিস্টান ছেলে ভাল লাগে না। এখন বোঝ কেমন লাগে। এখানে যতদিন থাকবি খ্রিস্টান ছেলেদের সঙ্গে থাকবি।