যুদ্ধের ইতি টানতে চাইছে রাশিয়া, শর্ত দিলেন পুতিন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। থামেনি রক্তক্ষয়ী লড়াই। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুরমিছিল সবকিছুই অব্যাহত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখে। তবে যুদ্ধ থামানোর জন্য কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। যা মানতে হবে ইউক্রেনকে। তাহলেই ইতি টানতে পারে এই সংঘর্ষে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তারপর থেকে অব্যাহত রয়েছে লড়াই। এই দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধের ফলে কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কিয়েভকে। তবে এবার শান্তি চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আর এ কারণে চলতি সপ্তাহের শেষে সুইজারল্যান্ড অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন। যা নিয়ে শুক্রবার (১৪ জুন) মস্কোর রুশ বিদেশমন্ত্রকে কথা বলেন পুতিন।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবরে বলা হয়, শুক্রবার (১৪ জুন) বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে পারি। তবে ইউক্রেনকে নেটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। তাহলেই আমরা আলোচনায় বসতে রাজি। পুতিনের দাবি এখানেই শেষ নয়।
তিনি আরো শর্ত দেন, ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, জাপরিজজিয়া ও খেরসন থেকে পুরোপুরীভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে ইউক্রেনকে। তবেই আমরা শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসবো। ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন আগে পুতিনের এ শর্ত বেঁধে দেয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবে অন্তত ৯০টি দেশ। সুইজারল্যান্ড অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটাই লক্ষ্য। যুদ্ধ থামিয়ে কীভাবে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানো যায়। আর সেই পথ খুঁজে বের করা। কিন্তু সামিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাশিয়াকে। যার পালটা দিয়ে মস্কো জানিয়েছে, এ সম্মেলন সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এই বৈঠকে আগ্রহী না।