মেয়েদের পরকীয়ার শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
তালিবান শাসন ফিরে আসায় আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চাকরিতেও তাদের প্রবেশাধিকার নেই। এবার নয়া ফতোয়া জারি করলো তালিবান সরকার। মেয়েরা পরকীয়া করলে তার শাস্তি হবে প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে হত্যা।
২০২১ সালে তালিবান শাসন ফিরে আসে আফগানিস্তানে। তালিবান অবশ্য দাবি করেছিল, নারীশিক্ষায় তারা আগের মতো কট্টরপন্থী মনোভাব পোষণ করবে না। এ কথা কেউই বিশ্বাস করেনি।
তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজ়াদা শরিয়তি আইনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। মহিলাদের পরকীয়ার শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যা, প্রকাশ্যে বেত মারা।
তিনি বলেন, মেয়েরা পরকীয়া করলে বেত মারব, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পাথর ছোড়া হবে। তালিবানের এমন ঘোষণায় অবাক হননি আফগান নারীরা। ‘৯০-এর দশকের সেই অন্ধকার যুগ ফিরে আসার আতঙ্কে এখন দিন কাটছে তাদের। বিনা অপরাধে পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে পাথর ছুড়ে হত্যা।
২০২১ সালের অগস্টে ক্ষমতায় আসার পরই পুরনো দণ্ডবিধি বাতিল করে শরিয়তি শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনছে তালিবান। নারী আইনজীবী ও বিচারক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এখন সংবাদমাধ্যমও তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে।
গত দুই বছরে তালিবানের নিযুক্ত বিচারক ৪১৭ জনকে প্রকাশ্যে বেত মারা ও মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে ৫৭ জন নারী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জওজ়ান ও গজনী প্রদেশেপ্রেকাশ্যে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হয়েছে তাদের।