মিষ্টি নিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা মমতা, কী কথা হলো তাদের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরামবাগের রাজনৈতিক সভা শেষ করে এসেছেন কলকাতার রাজভবনে। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য় সাক্ষাৎ করতে এলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে কী বললেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী?
শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্য়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে বেরিয়ে এসে মুখ খুললেন মমতা। তবে রাজনৈতিক সভা থেকে যে ঝাঁঝ থাকে এদিন দেখা করে বেরিয়ে এসে তার নামমাত্রও ছিল না।
মমতা বলেন, এখনও তো নির্বাচন ঘোষণা করা হয়নি। পুরো প্রটোকল মেনে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে যে দেখা করতে হয় সেটা। আর কিছুক্ষণ গল্প করলাম এই যা। অন্য় কিছু বলব না। যা বলবে পার্টি বলবে। এটা প্রটোকল মিটিং। সৌজন্য সাক্ষাৎকার। কী উপহার দিলেন? বাংলার মিষ্টি তো আমরা সবসময়ই দিই। বললেন মমতা।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, রাজভবনে এসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। রাজ্য়ের কথাও বললাম। আর গল্প করলাম। রাজনীতির কথা কম, গল্পই বেশি হল।
কিন্তু বকেয়া নিয়ে কিছু কথা কি হল? এই বকেয়া নিয়েই তো এত টানাপোড়েন। সেটার কী হবে? মমতা বলেন, হ্যাঁ সেসব নিয়ে আমার যা বলার বলে দিয়েছি। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, আমাদের যা বলার আমরা রাজনীতির মঞ্চে বলব। এটা আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ ও প্রটোকল মেনে।
সন্দেশখালি ইস্যুতে একেবারে জোরালো আক্রমণ করেছেন। খাটনির টাকা চুরি করতে দেব না বলেও তিনি জানিয়েছেন। শনিবার আবার কৃষ্ণনগরে সভা। গোটা রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল একে অপরকে এক ইঞ্চি রাজনৈতিক জমিও ছাড়তে চায় না। তবে রাজভবনে এদিন অন্য ছবি। মমতা নিজেই বললেন, গল্প করলাম।
এদিকে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নামছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে এই ‘গল্প’ কতটা দুদলের কাছে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতির ময়দানে শত্রুতা থাকতেই পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যখন রাজ্য়ে এসেছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী যাবেন, দেখা করবেন, সৌজন্যতা দেখাবেন এটাই স্বাভাবিক।
তবে এদিন মোদী-মমতা সাক্ষাতের পরে কাল প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের বিরুদ্ধে কতটা সুর চড়াবেন সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল। তবে এসবের মধ্য়েই ঘুরে ফিরে আসে বহু চর্চিত সেটিং তত্ত্ব। কিন্তু দুই দলের নেতৃত্ব কখনওই এই তত্ত্বের সঙ্গে একমত হননি।