ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতিউরকে রক্ষায় মরিয়া ক্ষমতাধররা!

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাগলকান্ডের পর আলোচিত ও দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি পদ হারানো ড. মতিউর রহমান দেশেই রয়েছেন। গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। এ তথ্য একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছে।

১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর মতিউরেরর বিরুদ্ধে পাহাগ সমান দুর্নীতির অভযোগ বেরিয়ে আসে। যারা মতিউরের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন, স্বর্ণ চোরাচালান করেছেন তারাই এখন মতিউরকে রক্ষা করতে মরিয়া। মতিউরকে যারা রক্ষা করতে চান, তারা অনেক ক্ষমতাধর ব্যবসায়ী। এমনকি একাধিক ক্ষমতাধর সচিবও তাকে রক্ষা করতে চাইছেন। মতিউরের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের যে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তা গত বছরের ছবি বলে একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মতিউর আখাউড়া দিয়ে পালিয়ে গেছে-এই তথ্য তারা জেনেছিলেন।

তবে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পাসপোর্ট দিয়ে এখান থেকে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের অপর একটি সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় তার নিজের বাড়িতে রয়েছেন মতিউর। শুধু তাই নয়, তাকে সংযুক্তি দেওয়ার একদিন পর অর্থাৎ সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে তিনি যোগদান করেন।

এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান দেশে বিপুল অর্থ-সম্পদ করেছেন। একই সাথে বিদেশে অর্থ পাচার করে কানাডা ও দুবাইয়ে বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন সম্পদ ক্রয় করেছেন। মতিউরের সম্পদ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। ঢাকার এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট, সিলেট এয়ারপোর্ট ও বেনাপোল স্থলবন্দরে চাকরি করার সময় স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ মালামাল পাচারকারীদের সাথে তার ছিলো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার পেছনে রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদার, হুন্ডি ব্যবসায়ী, ও অবৈধ মালামাল আনা নেয়া যারা করে সেই সব বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

শেয়ারবাজারের একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তির সাথেও মতিউরের সম্পর্কে ছিলো। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সাথেও মতিউর জড়িত। ব্যাংকের পরিচালকও ছিলেন মতিউর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মতিউরকে রক্ষায় মরিয়া ক্ষমতাধররা!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

ছাগলকান্ডের পর আলোচিত ও দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি পদ হারানো ড. মতিউর রহমান দেশেই রয়েছেন। গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে তিনি বাসায় অবস্থান করছেন। এ তথ্য একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছে।

১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর মতিউরেরর বিরুদ্ধে পাহাগ সমান দুর্নীতির অভযোগ বেরিয়ে আসে। যারা মতিউরের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন, স্বর্ণ চোরাচালান করেছেন তারাই এখন মতিউরকে রক্ষা করতে মরিয়া। মতিউরকে যারা রক্ষা করতে চান, তারা অনেক ক্ষমতাধর ব্যবসায়ী। এমনকি একাধিক ক্ষমতাধর সচিবও তাকে রক্ষা করতে চাইছেন। মতিউরের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের যে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তা গত বছরের ছবি বলে একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মতিউর আখাউড়া দিয়ে পালিয়ে গেছে-এই তথ্য তারা জেনেছিলেন।

তবে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পাসপোর্ট দিয়ে এখান থেকে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের অপর একটি সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় তার নিজের বাড়িতে রয়েছেন মতিউর। শুধু তাই নয়, তাকে সংযুক্তি দেওয়ার একদিন পর অর্থাৎ সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে তিনি যোগদান করেন।

এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান দেশে বিপুল অর্থ-সম্পদ করেছেন। একই সাথে বিদেশে অর্থ পাচার করে কানাডা ও দুবাইয়ে বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন সম্পদ ক্রয় করেছেন। মতিউরের সম্পদ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। ঢাকার এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট, সিলেট এয়ারপোর্ট ও বেনাপোল স্থলবন্দরে চাকরি করার সময় স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ মালামাল পাচারকারীদের সাথে তার ছিলো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার পেছনে রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদার, হুন্ডি ব্যবসায়ী, ও অবৈধ মালামাল আনা নেয়া যারা করে সেই সব বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

শেয়ারবাজারের একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তির সাথেও মতিউরের সম্পর্কে ছিলো। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সাথেও মতিউর জড়িত। ব্যাংকের পরিচালকও ছিলেন মতিউর।