ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটদানে বাঁধা এলেই ৯৯৯-এ ফোন করুন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা

যশোর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যশোরের তিন উপজেলায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বাঁধা দান বা সুষ্ঠু পরিবেশের বিঘ্ন ঘটালে কঠোরভাবে দমন করা হবে। এজন্য ভোটপ্রদানে বাঁধা প্রদান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ঘটনা ঘটলে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন করার আহবান জানানো হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের (২য় ধাপ) প্রেস ব্রিফিংকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ আহবান জানান। রোববার বেলা ১১টার দিকে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, যশোরের তিন উপজেলার ভোট ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব সদস্যরা ভোটারদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারির বাহিরে যদি কেউ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করে বা ভোটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে ভোটারদের নিকট অনুরোধ থাকবে তৎক্ষণাৎ জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে জানানোর জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিবে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, এ তিন উপজেলায় কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লংঘন ও সংঘটিত নির্বাচনী অপরাধের কারণে গত ১৭ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন অন্য দুই উপজেলার চেয়ে শার্শা উপজেলায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে বেশি।

তিন উপজেলায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১ হাজার ৭১৮ জন পুলিশ, ৬০ জন র‌্যাব সদস্য এবং ৬০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-তিন উপজেলার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভোটদানে বাঁধা এলেই ৯৯৯-এ ফোন করুন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যশোরের তিন উপজেলায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বাঁধা দান বা সুষ্ঠু পরিবেশের বিঘ্ন ঘটালে কঠোরভাবে দমন করা হবে। এজন্য ভোটপ্রদানে বাঁধা প্রদান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ঘটনা ঘটলে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন করার আহবান জানানো হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের (২য় ধাপ) প্রেস ব্রিফিংকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ আহবান জানান। রোববার বেলা ১১টার দিকে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, যশোরের তিন উপজেলার ভোট ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পুলিশ, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব সদস্যরা ভোটারদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারির বাহিরে যদি কেউ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করে বা ভোটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে ভোটারদের নিকট অনুরোধ থাকবে তৎক্ষণাৎ জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে জানানোর জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিবে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, এ তিন উপজেলায় কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি লংঘন ও সংঘটিত নির্বাচনী অপরাধের কারণে গত ১৭ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন অন্য দুই উপজেলার চেয়ে শার্শা উপজেলায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে বেশি।

তিন উপজেলায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১ হাজার ৭১৮ জন পুলিশ, ৬০ জন র‌্যাব সদস্য এবং ৬০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-তিন উপজেলার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ প্রমুখ।